পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ত্রয়োদশ ভাগ).pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্য্য-বিবরণী 8S উদ্যোগ হইতেছিল, এ বৎসর স্বদেশী আন্দোলনে কথাটি চাপা পড়িয়া যায়। gश्भ१ांबू ‘अश्या মৃত্যুতে বাঙ্গালা সাহিত্যের এই গ্ৰন্থাবলী প্ৰকাশ বোধ হয়। আর ঘটল না। শ্ৰীযুক্ত হীরেন্দ্রনাথ দত্ত বলিলেন, হেমবুবুর এদিকে ইচ্ছা হইয়াছিল। ঐ গ্রন্থাবলী সাহিত্য-পরিষদের দ্বারা ও তাহাদের কর্তৃত্বাধীনে প্ৰকাশ করাইবেন । সাহিত্য-পরিষৎ ও ঐরূপ গ্ৰন্থ প্ৰকাশের জন্য অনেকদিন হইতে উদ্যোগী আছেন। হেমবাবুর উদ্যোগ সফল হইতে পরিত। হেমবাবুর শোকার্ল্ড পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনাসূচক পত্ৰ পাঠাইবার প্রস্তাব গৃহীত হইল। শ্ৰীযুত ব্যোমকেশ মুস্তফী সাকরাইলনিবাসী ৬/আনন্দনাথ সেনের মৃত্যু উপলক্ষে দুঃখ প্ৰকাশ করিয়া বলিলেন, ইনি প্ৰথমে সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকার গ্ৰাহক ও পরে সভ্য হইয়াছিলেন । পরিষদের প্রতি ইহার অত্যন্ত অনুরাগ ছিল । নব্যভারত পত্রিকায় ইহার যে সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত প্ৰকাশ হইয়াছে, তাহাতে দেখা যায় ইনি শেষ পৰ্য্যন্ত পরিষৎ-পত্রিকা” যত্নপূর্বক অধ্যয়ন করিতেন । ৫ । শ্ৰীযুত দীনেশচন্দ্ৰ সেন মহাশয় কবিকঙ্কণের স্বহস্তেলিখিত পুথি প্ৰদৰ্শন করিয়া বলিলেন, এই পুথির বর্তমান অধিকারী কবিকঙ্কণের বংশধর দামুষ্ঠাবাসি শ্ৰীযুত যোগীন্দ্ৰনাথ ভট্টাচাৰ্য্য এই সভাস্থলে উপস্থিত আছেন। [ যোগীন্দ্ৰনাথ ভট্টাচাৰ্য্য সভায় দণ্ডায়মান হইলেন ] এই পুথির শেষাৰ্দ্ধ নাই ; এই হেতু পুথির লিপিকারকের নাম ও নকলের তারিখের কোন নিদর্শন নাই। তথাপি ঐ পুথি যে প্ৰামাণিক, সে বিষয়ে নানা প্ৰমাণ রহিয়াছে । ( ১ ) ইহা তেরেটের পাতায় লেখা ; এ পর্যােস্ত তেরেটের পাতায় লেখা বাঙ্গালা গ্ৰন্থ আমি দেখি নাই। ইহা প্ৰাচীনতার নিদর্শন । p (২) ইত্যা দামুন্যার কবিকঙ্কণের বংশধরদের গৃহে কবিকঙ্কণের ঈষ্টদেবতা ৮সিংহবাহিনীর মন্দিরে বংশপরম্পরা ক্ৰমে রক্ষিত ও কবির স্বহস্তেলিখিত গ্ৰন্থ বলিয়া পূজিত হইয়া আসিতেছে। তঁহারা প্রচুর অর্থের বিনিময়েও ইহা হস্তান্তরিত করিতে সন্মত নহেন। (৩) এই পুথির মধ্যে একখানি প্রাচীন দলীল রক্ষিত আছে। উহা শিবরাম চক্ৰবৰ্ত্তীর নামে ব্ৰহ্মোত্তরভূমি-দান-পত্ৰ, উহার তারিখ ১০৪৭ সাল। শিবরাম চক্ৰবৰ্ত্তী কবিকঙ্কণের পুত্র ; চণ্ডীগ্রন্থেই তাহার নাম পুনঃ পুনঃ পাওয়া যায়। ( $ ) পুস্তকের নানাস্থানে সংশোধন আছে, উহা গ্ৰন্থকর্তারকৃত সংশোধন ভিক্স DD BDBD DDBDB BEEED DBBD KLDD DD S কিংবদন্তী আছে, কবিকঙ্কণের বংশধরেরা সম্পত্তিবিভাগের সময় এই গ্ৰন্থও ভাগ করিয়াছিলেন। শেষাৰ্দ্ধ কোথায় আছে, তাহার সন্ধান পাওয়া যায় নাই । কবিকঙ্কণের স্মরণচিহ্নস্বরূপ "ঠ্যাহার বাসস্থানে সিংত বাহিনীর মন্দিরটি পাকা করিয়া দেওয়ার জন্য দীনেশ বাবু পরিষৎকে প্রার্থনা করিলেন। বর্তমান কঁচাঘর বহুবার জলমগ্ন হইয়াছিল ; এই গ্ৰন্থখানি বহুকষ্টে বংশধরেরা বন্যার হাত হইতে রক্ষা কারিয়াছেন ; ; 更下