পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ত্রয়োদশ ভাগ).pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झन् S७>७] ধৰ্ম্মমঙ্গল করিয়া দূত প্রেরণা” করেন-কাণৰ্ডা চণ্ডীর সেবা করিয়া অপূৰ্ব্ব শক্তিলাঁড় করিয়াছিলেন, গৌড়েশ্বরের বিরাগের ভয়ে যখন হরিপাল ইতস্ততঃ করিতেছিলেন, তখন কন্যা কাণঢ় রাজপ্রেরিত গঙ্গাধর ভাটকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করিয়া তাড়াইয়া দেন ; এই সংবাদে ক্রুদ্ধ হইয়া গৌড়েশ্বর নয়লক্ষ সৈন্যের সঙ্গে হরিপালের রাজধানী শিমুল্যা নগরী অবরোধ করেন। পত্রে মহামদের উপদেশানুসারে রাজা অধিবাসের উপবাস করিয়া হাতে সুতা বাধিয়া শিমুল্যায় উপস্থিত হন, হরিপালকে পরাভূত করিয়া সেই দিনই কাণীড়াকে বিবাহ করবেন, এই সংকল্প করেন। শিমুল্যায় উপস্থিত হইলে কাণভু দেবীপ্রদত্ত লৌহগণ্ড পাঠাইয়া রাজাকে বলিয়া পাঠান, সেই গণ্ড যে দ্বিখণ্ডিত করিতে পরিবে, সেই তাহার পাণিগ্ৰহণ করিবে । বুদ্ধ রাজা গণ্ডা কৰ্ত্তন করিতে যাইয়া মুৰ্ছিত হইয়া পড়িলেন। পাত্র মহামদেরও দুৰ্দশার চূড়ান্ত হইল, অবশেষে পাত্রের মন্ত্রণায় রাজা ময়নাগড় হইতে লাউসেনকে দূত EHB BBD BBBBDBS BDBS DBiBBD DBBB EELLB BDBBDBBDB Di iiiB করিয়া ফেলিলেন, কাণভু তেঁাহাকেই বরমাল্য প্ৰদান করিলেন ; এই ঘটনায় মহামদ অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়া রাজাকে উত্তেজিত করিতে চেষ্টা পান, যে কন্যাকে বিবাহ করিবার জন্য রাজা স্বয়ং উপস্থিত হইয়াছেন, তাহাকে কোন বিচারে লাউসেন বিবাহ করিলেন। রাজার সৈন্য শিমুল্যা ধ্বংস করিতে প্ৰবৃত্ত হয়—কিন্তু কাণভু স্বয়ং বুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হইয়া রণরঙ্গিণী বেশে রাজসৈন্যকে দালন করিতে লাগিলেন, চণ্ডীর প্রভাবে কেহই তাহার সহিত সমকক্ষতা করিতে সাহসী হইল না, তখন লাউসেনের সঙ্গে কাণৰ্ডার যুদ্ধ বাধিয়া গেল, কিন্তু দেবীর প্রসাদে দম্পতীর পরস্পরের হস্তনিক্ষিপ্ত অন্ত্রগুলি কুসুম কোমল হইয়া পরস্পরকে স্পর্শ করিল। মহামদের দুরভিসন্ধি সমস্ত ব্যর্থ হইয়া গেল, রাজা লাউসেনকে আদরের সহিত অভিনন্দন করিয়া লইলেন । কগুণড়াকে লইয়া লাউসেন স্বগৃহে প্ৰত্যাগত হইলেন। মহামদ। এবার যে কোন প্রকারে হউক ভাগিনেয়কে নিহত করিবার সঙ্কল্প স্থির করিতে লাগিল। যে ইছাই ঘোষের হস্তে একদা গৌড়েশ্বরের সমস্ত সৈন্য পরাভূত হইয়াছে, কৰ্ণসেন স্বয়ং একবার যাহার দ্বারা নিৰ্ব্বংশ হইয়াছিলেন, সেই ইছাই ঘোষের বিরুদ্ধে লাউসেনকে পাঠাইতে পারিলে তাহার আর ফিরিয়া আসিবার সম্ভাবনা নাই ; সুতরাং মহামদ রাজাকে বুঝাইল, লাউসেন অমিতবলসম্পন্ন, ইছাই ঘোষকে দমন করা তাহার পক্ষে সহজ। রাজা লাউসেনকে চিঠি পাঠাইলেন-ইছাই ঘোষের নিকট হইতে বাকী কর আদায় করিয়া গৌড়ে শীঘ্ৰ পাঠাইতে হইবে । লাউসেন এই চিঠি পাইয়া ঢেকুরে রওনা হইলেন ; ঢেকুর-যাত্রার সময় কর্ণসেন ও রঞ্জাবতী লাউসেনকে অনেকবার বারণ করিয়াছিলেন, এই ঢেকুরে একবার কর্ণসেনের সর্বনাশ হয়, কিন্তু লাউসেন পিতামাতাকে ‘প্ৰবোধ দান করিয়া ইছাইকে হত্যা করিয়া পূৰ্ব্ব অপকারের প্রতিশোধ লইতে কৃতনিশ্চয় হইয়া চলিয়া গেলেন ; প্ৰহলাদপাড়া, শিবপুর, সাতগেছে, নিধুবাটী প্ৰভৃতি স্থান অতিক্ৰম করিয়া অজয়নদীর তীরে উপস্থিত হইলেন, অঞ্জয় উত্তীর্ণ হইয়াই ঢেকুর । তথায় কালিকার রূরে অপ্রমিত বলসম্পন্ন ইছাই