পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষষ্ঠ ভাগ).pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yat Seou বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের কাৰ্য্য-বিবরণ । le/9 তাহাও ঠিক। প্ৰাচীন সংস্কৃতানুসারিণী রচনা প্ৰণালী হইতে ইংরাজী শিক্ষিত লোক দিগের দ্বারা যে বিভিন্ন প্ৰণালীর রচনা প্ৰণালী প্ৰবৰ্ত্তিত হয়, তাহারই আতিশব্যে বা শৃঙ্খলার অভাবেই যে এ সকল দোষের বহুল প্রচার হইয়াছে, তাহা বেশ বুঝা যায়। র্যাহারা এই প্ৰথা প্ৰথম প্ৰবৰ্ত্তিত করেন, তঁহাদের অগ্ৰণী বঙ্কিম বাবুও যে কালে ইহার কুফল উপলব্ধি করিয়াছিলেন এবং সংস্কৃতানুযায়ী সংস্কারের আবশ্যকতা বুঝিয়াছিলেন, নিজেও যে ভবিষ্যতে সেইরূপ লিখিবেন, এরূপ অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, তাহা আমার শুনা আছে। প্ৰবন্ধকার যে ভাষার অস্থানবাহুল্য ও অল্পবাহুল্য দোষের উল্লেখ করিয়াছেন, তাহা কেবল লেখকদিগের চরিত্রগত বা নীতিগত দোষের ফল নহে, ইংরাজী সাহিত্যের আদর্শেও কতকটা দোষ স্পশিয়াছে। সংস্কৃত সাহিত্যের আলোচনাতে এরূপ দোষের প্রভাব দেখা যায়, সংস্কৃত সাহিত্যের সহিত যখন বৌদ্ধ সাহিত্যের সংঘর্ষ উপস্থিত হইল, তখন গাথা ভাষার সৃষ্টি হইল। পূৰ্ব্বে ঋষিপ্রণীত শাস্ত্ৰাদিতে দেখা যায় তাহারা সুপ্ৰযুক্ত BD Bu DDBD DBDD DuD BDBBBDDSS DBDBDBBL DDBDS BB DDDDgBDBBDS DBDD শব্দ ব্যবহারের বিশেষ প্ৰশংসা ও বিধি দেখা যায় । অল্প কথায় মনোভাব প্ৰকাশের জন্য তঁহারা শব্দের নামার্থ প্ৰকৃতিপ্ৰত্যয়যোগে ভিন্নার্থ স্বীকার করিয়া গিয়াছেন, ইহাও অতিমাত্র সংক্ষেপপ্রিয়তার ফল বলিতে হইবে। বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারিত হইলে বৌদ্ধের সাধারণ লোককে স্ত্রী শূদ্ৰকে বুঝাইবার জন্য একটী নূতন উপায় উদ্ভাবন করিল। উহা বিস্তৃত ভাষাএক কথা এক ভাব বহু কথা দ্বারা হৃদয়ঙ্গম করাইবার চেষ্টা হইতে উহার উৎপত্তি। এই চেষ্টার ফলে সুত্রের ভাষা কেবল মনীষিগণের আলোচ্য হইয়া পড়িল এবং আপামর সাধারণে গাথা, প্ৰাকৃত, মাগধী প্ৰভৃতি অপেক্ষাকৃত বিস্তার সম্পন্ন ভাষা গ্ৰহণ করিল। শেষে বৌদ্ধ ব্যাখ্যার অনুকরণে সংস্কৃত ভাষাতেও রচনা কালে বিস্তৃতি দোষ (যদি দোষ বলা যায় ) প্ৰবেশ। করিল। সাধারণ অশিক্ষিতের জন্য ভাষা কিছু বাগজাল পূর্ণ না করিলে চলে না। একটা গভীর তত্ত্ব সামান্য বুদ্ধির লোকের মনে প্ৰবেশ করাইতে হইলে বহুকারের সাহায্যে নানারূপে ঘুরাইয়া ফিরাইয়া তাহাকে যেন বহুশব্দে অনুবাদ করিয়া না বলিলে চলে না। এজন্য অনেক BD DBDBD DBDDBD DBD DBDB BB BBDuD uKBBBD BBDBiDBDB DDDD BB DDD তবে একটা কথা এই যে ব্যাখ্যার উদ্দেশে ভাষাকে বিস্তৃতি দিতে গ্নিয়া অনেকে আদর্শ হইতে জ্বলিত হইয়া পড়িয়াছেন। এক দিকে সাবধান হওয়া আবশ্যক। ব্যাকরণ দোষ সম্বন্ধে প্ৰবন্ধকার যাহা বলিয়াছেন, তাহার মূলে আরও একটী কারণ আছে। অনেকের বিশ্বাস, ব্যাকরণের বাধাবাধি নিয়মের মধ্যে চলিলে ভাষার উন্নতির পথ রুদ্ধ করা হয়। এই কুসংস্কার ব্যাকরণ না জানার জন্য নহে, ব্যাকরণের প্রতি ঘূণা হইতেই উৎপন্ন। ঐ রূপ ধারণাবিশিষ্ট লোকেরা বলেন, ব্যাকরণের নিগড়ে বাঙ্গালা ভাষাকে বধিলে তাহার স্বাতন্ত্র্য থাকিবে কিসে ? সংস্কৃতের সহিত তাহার পার্থক্য থাকিবে কেন ? এরূপ অজ্ঞতা বা ভ্ৰান্ত ধারণা অনুকম্পার যোগ্য। এ দোষ বেশী দিন আলোচনায় বহুদৰ্শিতায় কাটতে পারে।