পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষষ্ঠ ভাগ).pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০৬ । ] , গোপীনাথপুরের শিলালিপি । NOGA বোধ হয়, মন্ত্রী গোপীনাথের নামানুসারেই মন্দিরের নাম গোপীনাথ ও পরে উক্ত গ্রামও গোপীনাথপুর নামে খ্যাত হইয়াছে। এই গ্রামে ব্ৰাহ্মণশাসন আছে। এখানকার একঘর ব্ৰাহ্মণ আপনাদিগকে গোপীনাথ মহাপাত্রের বংশধর বলিয়া পরিচয় দিয়া থাকেন। তঁহাদের মুখে শুনিলাম যে, গোপীনাথ দুই ঘণ্টামাত্র কপিলেন্দ্রের মন্ত্রিত্ব পাইয়াছিলেন। এই দুই ঘণ্টার মধ্যে উক্ত গোপীনাথের মন্দির নিৰ্ম্মিত হয়। কিন্তু দুই ঘণ্টার মধ্যে এরূপ মন্দির হওয়া অসম্ভব। গোপীনাথ কপিলেন্দ্রের মহামাত্ৰিপদে নিযুক্ত ছিলেন, কপিলেন্দ্রের অপর শিলালিপি श्टड७ ऊांश्ाल (2भां। श्रां9ग्रां शांग्र । উৎকলের মাদলাপঞ্জীর মতে-কপিলেন্দ্র বা কপিলেশ্বর দেব ১৩৭৪ হইতে ১৪০১ শক * ( ১৪৫২-১৪৭৯ খৃষ্টাব্দ) পৰ্যন্ত ২৭ বর্ষ রাজত্ব করেন। ২ আবার কোণ্ডবীড়র রাজবংশাবলী অনুসারে তঁহার রাজ্যকাল ১৪৫৪ হইতে ১৪৬১ খৃষ্টাব্দ। এদিকে গোদাবরী জেলাস্থ কোরুকে এ গ্রামের নিকটবৰ্ত্তী বীরভদ্র পাহাড়ে ১৩৬৫ শকে উৎকীর্ণ শিলালিপিতে “কপিলেশ্বর l ਜ਼ਮਣਿਬ नाभ दिCशाषिऊ रुछ्रेम्नाgछ ° ।

  • যাহা হউক সপাদ পঞ্চশত বর্ষ পূর্বে মুসলমান রাজগণের অখণ্ড প্ৰতাপ-সময়ে আমরা একজন অদ্বিতীয় মহাবীর হিন্দুরাজের পরিচয় পাইতেছি। যে সময়ে হিমালয় হইতে কুমারিকা, সৌরাষ্ট্র হইতে চট্টগ্রাম পৰ্যন্ত মুসলমান প্রভাব বিস্তৃত, সেই সময়ে একজন উৎকালরাজ কএকজন উড়িয়া সৈন্য সঙ্গে লইয়া প্ৰধান প্ৰধান যাবনরাজগণের সহিত যুদ্ধ করিয়া জয়শ্ৰী অর্জন করিয়াছিলেন, ইহা নিতান্ত বিস্ময়জনক সন্দেহ নাই ! হয় তা অনেকেই এই লিপির কথা বিশ্বাস করিবেন না, হয়ত কবির কল্পনা মাত্র বলিয়া উপেক্ষা করিবেন। কিন্তু যত দূর আমরা প্রমাণ পাইয়াছি, তাহাতে শিলালিপির বর্ণনা অত্যুক্তি বলিয়া মনে হয় না।

মাদলাপঞ্জী, রাজবংশাবলী প্ৰভৃতি গ্রন্থে কপিলেন্দ্র দেবের অভু্যদয়, পরাক্রম ও দিগ্বিজয়প্ৰসঙ্গ বিস্তৃতভাবে বর্ণিত আছে। দেশীয় বিবরণ ছাড়িয়া দিন,-মুসলমান ঐতিহাসিকগণ স্বভাবতঃ হিন্দুবিরোধী হইলেও উক্ত উৎকলরাজের সমরপ্রসঙ্গ লিপিবদ্ধ করিতে বিস্মৃত হন নাই। মুসলমান ঐতিহাসিক ফেরিস্ত কুলবর্গার বাহ্মণী-রাজগণের প্রসঙ্গে লিখিয়াছেন'(১৪৫৭ খৃষ্টাব্দে) হুমায়ুনশাহ বাহ্মণীর রাজত্বকালে তৈলঙ্গেরা মুসলমানের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিবার জন্য উৎকলরাজ ও উড়িয়াদিগের সাহায্য প্রার্থনা করিয়াছিল। উৎকালরাজ তৈলঙ্গ ও উড়িয়া সৈন্য-সাহায্যে সম্পূর্ণরূপে ইসলাম-বাহিনী বিধ্বস্ত করিয়াছিলেন এবং বহুদূর পর্যন্ত বিজিত মুসলমান সৈন্যগণের পশ্চাদমুসরণ করিয়াছিলেন। হুমায়ুনের পুত্ৰ নিজামশাহের সময়েও উৎকালরাজ তৈলঙ্গের হিন্দু জমিদারবর্গের সহযোগে রাজমহেন্দ্রী হইয়া পুনরায় দাক্ষিণাত্য (3) Dr. Mitra's Antiquities of Orissa, Vol. II, p, 166. (२) विश्टकाव २ग्र छांश ७०० छे। (8) R, Sewell's List of Antiquities &c. Wol. II.