পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষষ্ঠ ভাগ).pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

loyo বিভিন্ন দর্শনের পৌৰ্ব্বাপৰ্য্য, তত্তৎশাস্ত্রের জটিলতা ও সরলতা বিচার করিয়াই গণনা করা উচিত। নগেন্দ্র বাবু হেমচন্দ্রের যে বচনের সাহায্যে চাণক্য ও বাৎস্যায়নকে এক বলিয়া প্ৰমাণ করিয়াছেন, বিদ্বৎসমাজে ঐ বচনের আদর নাই। নন্দবংশ-ধ্বংসকারী চাণক্য নীতিশাস্ত্ৰবিৎ ছিলেন, তাহার নৈয়ায়িকতার প্রমাণ বা প্ৰবাদ কিছুই নাই। বাৎস্যায়ন গোত্ৰনাম, दाडिमांभ वविज्ञा भान श् ना । দিঙাগের সময় খৃঃ ৬ষ্ঠ শতাব্দীই ঠিক কারণ ধৰ্ম্মরুচি ও দিঙাগ সমকালবৰ্ত্তা। ধৰ্ম্মরুচির অনুরোধে দিঙাগ “প্রজ্ঞামূলশাস্ত্ৰসুত্র” রচনা করেন এবং ঐ গ্ৰন্থ ধৰ্ম্মরুচি চীনদেশে খৃষ্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে পাঠাইয়া দিয়া তদেশীয় ভাষায় অনুবাদ করান। এতদ্ভিন্ন লা থথোরি নামে খৃষ্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে তিব্বতে এক রাজা ছিলেন। শাস্ত্ৰে আছে, ইহারই সময়ে দিড়াগ দাক্ষিণাত্যে কান্ধীনগরে সিংহবন্ত গ্রামে জন্ম গ্ৰহণ করেন এবং উত্তরকালে নাগদত্তের সম্প্রদায়ভুক্ত হন। এই নাগদত্তও খৃঃ ৬ষ্ঠ শতাব্দীর লোক । নগেন্দ্র বাবু যে তারানাথের উল্লেখ করিয়াছেন। উহা সম্ভবতঃ তারানাথ নহে,-তারিনাথ। তারনাথের গ্রন্থেই দিঙাগের পূৰ্ব্বোক্ত জন্ম কথা আছে। পাশ্চাত্য পণ্ডিত্যাদির অনেকেই এখন কালিদাসকে ৬ষ্ঠ শতাব্দীর লোক বলেন। যদিও এমতে বক্তার ততটা আস্থা নাই, তথাপি এমত যখন এমনও উৎখাত হয় নাই, তখন তন্মতবাদিগণের অনুসরণে চলিতে পারি। কালিদাস ও দিঙনাগ সমকালবৰ্ত্তা, তাহার মেঘদূতে দিঙনাগের উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন এবং মল্লিনাথ টীকায় দিঙনাগ তৎসমকালিক পণ্ডিত বলিয়া প্রচার করিয়া গিয়াছেন। এতদ্ভিন্ন দিঙনাগ উড়িষ্যায় গিয়া তৰ্কপুঙ্গব উপাধি প্ৰাপ্ত হন। তঁহার উড়িষ্যাগমনের যে বিবরণ আছে, তদ্বারাও তঁহাকে খৃঃ ৬ষ্ঠ শতাব্দীর লোক বলিয়াই স্থির করিতে হয়। উদ্যোতকরাচাৰ্য্য ৭ম শতাব্দীর লোক ইহা একবারে স্থির হইয়াছে। আর বাসবদত্তাকার সুবন্ধু খৃষ্টীয় ৫ম শতাব্দীর লোক। উদ্যোতকরাচাৰ্য্য দিঙনাগের মত খণ্ডন করিয়াই ন্যায়বাৰ্ত্তিক লেখেন, এজন্য দিঙনাগ সুবন্ধু ও উদ্যোতকরাচাৰ্য্যের মধ্যবৰ্ত্তী অৰ্থাৎ सछे अंडाकौदखै । ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তির সময় নির্দেশ বিষয়েও নগেন্দ্ৰ বাবুর সহিত র্তাহার মতভেদ । তিব্বতরাজ শ্ৰীনশন গল্পে ৬২৩ খৃষ্টাব্দে বর্তমান ছিলেন। ইহার সময়ে ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তি তিব্বতে ছিলেন, সুতরাং তিনি খৃঃ ৭ম শতাব্দীর লোক । শঙ্করাচাৰ্য সম্বন্ধে নূতন আর তর্ক কেন ? উহাত ঠিকই হইয়া গিয়াছে যে, তিনি ৮৮৭ খৃষ্টাব্দে বর্তমান ছিলেন। *- ভবভূতি কুমারিল্প ভট্টের শিষ্য বলিয়া খ্যাত। ভবভূতি ৮ম শতাব্দীর লোক। অকলঙ্কদেব, প্ৰভাচন্দ্ৰ সুরি ও সমস্তভদ্রও ঐরূপে ৭ম-৮ম শতাব্দীর লোকই বটেন। শ্ৰীযুক্ত হরিদেব শাস্ত্রী বলিলেন, সতীশবাবু নগেন্দ্র বাবুর কথায় দুঃখ প্ৰকাশ করিয়াছেন। তাহার বিবেচনায়, ইহাতে দুঃখের কিছুই নাই, কারণ নগেন্ত্র বাবু উহা সমালোচনার স্বরূপই