পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষষ্ঠ ভাগ).pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ve/O তার কথাটা উঠিয়াছে সে দিকটা বাস্তবিক অন্ধকারে ভরা। সেখানে সকলেই অঙ্ক, বহুকষ্টে সেখানে আলো ফুটাইতে হয়। আমাদের রাজপুরুষেরা যদি বৌদ্ধ ধৰ্ম্মালোচনা না করিতেন, তাহা হইলে আমরা আজ তাহার কিছুই জানিতে পারিতাম না। বুদ্ধ বিষ্ণুর অবতার হইয়া গিয়াছেন। অবতারত্বের অন্ধকারে পড়িয়া বুদ্ধতত্ত্ব চিয় অন্ধকারে ডুবিয়া থাকিত। বৌদ্ধ বলিলে বুদ্ধের পরবর্তীকালের কথাই যে বুঝা যায় এমন নহে, বুদ্ধের পূর্বেও বৌদ্ধধৰ্ম্মের কিছু না কিছু বীজ জন্মিয়াছিল, তাহা বুঝা যায়। অনুসন্ধান সন্দেহ না হইলে হয় না। ভক্তিতে সন্দেহ আসে না, সুতরাং ভক্তি গেলে সন্দেহ হয়, তাহার পর কোন বিষয়ে আলোচনার প্রবৃত্তি হয় । আমাদের পণ্ডিতমণ্ডলীর ভক্তি সহজে টিলে না, সুতরাং তঁাহারা এরূপ ভাবে অনুসন্ধান করিতে প্ৰস্তুত হইতে পারেন না। নগেন্দ্র বাবুর আলোচনা গভীর গবেষণাপূর্ণ এবং বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের কথাতেও সত্য থাকিতে পারে। এস্থলে হঠাৎ সত্য নির্ণয় করিয়া দেওয়া যাইতে পারে না, তাহা নিজের আলোচনা সাপেক্ষ । কোন পক্ষের মীমাংসা সহসা গ্ৰহণ করা উচিত নহে । এরূপ বিষয়ের আলোচনায় একদিনে একজন দ্বারা সত্য আবিষ্কৃত হওয়ার আশা করিতে পারা যায় না। এই অনুসন্ধান স্পৃহাই শুভ লক্ষণ। আমাদেরও আহলাদের বিষয় যে এখন স্বাধীনভাবে আমাদের আলোচনা প্ৰবৃত্তি বাড়িতেছে। নিজে দেখিয়া শুনিয়া কোন কাৰ্য্য করিলে সত্য সহজে নিষ্কাশিত হয় । অবশেষে প্ৰবন্ধলেখকের পরিশ্রম, সুন্ম বিচার শক্তি এবং ধীরভাবে সুপ্ৰণালীতে মীমাংসা করিবার ক্ষমতা বিশেষ প্ৰশংসাৰ্ছ । গ্ৰন্থরক্ষক মহাশয়ের প্রস্তাবে যে সকল সভ্য মহাশয় পরিষদের গ্ৰন্থালয়ে গ্ৰন্থ উপহার দিয়াছেন, তাহাদিগকে ধন্যবাদ দেওয়া হইল । অতঃপর সহকারী সভাপতি মহাশয় সভাপতি মহাশয়কে ধন্যবাদ দিয়া রাত্রি ৮৷০ টার সভা ভঙ্গ হইল । শ্ৰীহীরেন্দ্ৰনাথ দত্ত, শ্ৰীদ্বিজেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর, সম্পাদক । r সভাপতি । ১৩০৬ সাল ৪ঠা বৈশাখ । ampm“