পাতা:সাহিত্য সার .djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৩ সাহিত্যসার । থাকুক, পক্তিপত্নীর মঙ্গলকামনা বিলক্ষণ প্রবল হইয় উঠে। এইরূপ চিন্তা উপস্থিত না হষ্টলে, কেহ কোন সৎকৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইতে পারে না । অতএব পরিবারের ভরণপোষণ নিমিত্ত ব্যাকুল হইয়া যে ব্যক্তি কোন কুকৰ্ম্ম করে, তাছার জন্য মহামায়াকে নিৰ্মা না করিয়া তাহার দারিদ্র্যনিবারণের উপায়চেষ্টা করাই যুক্তিসঙ্গত । আবায় বিবাহের পর সস্তান উৎপন্ন হইলে, পতিপত্নীর মধ্যে নূতন একটা শৃঙ্খল নিবদ্ধ হয়। যে দেশে বিবাহগ্ৰথ নাই, এবং স্ত্রীপুরুষেরা সকলেই স্বেচ্ছাচারী, সেখানে কেছ সস্তানলাভের সম্পূর্ণ মুখ অনুভৰ করিতে পারে না। জন্মদাতার সেই সস্তানে কোন অধিকার বৰ্ত্তে না, মাতাও তাহার জন্য আপনার ভিন্ন অন্ত্যের প্রতি নির্ভর করেন না ; সুতরাং সস্তান স্ত্রী-পুরুষের প্রণয়বৃদ্ধিকারী না হইয়। বরং বিচ্ছেদের চেতু হয়। বিবাহুসংস্কারকে স্ত্রীপুরুষের মধ্যে চুক্তিবিশেষ বলিয়া ভ্রম হইত্তে পায়ে বটে, কিন্তু সস্তানের সহিত সম্পর্ক কখনই সেরূপ বোধ হয় না ; অতএব ইহার প্রতি লক্ষ্য করিলেই নিগৃঢ় মৰ্ম্মবোধ হইবেক । মহাভারতে লিখিত আছে যে, শ্বেতকেতু পিতৃসমক্ষে আপন মাতাকে কোন অপরিচিত পুরুষের সহিত গমন করিতে দেখিয়া, এই নিয়ম নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছিলেন যে, স্ত্রীজাতি পতি ভিন্ন অন্য পুরুষের সেৰা করিতে পাfরৰে না । এই গল্পট বিবাহপ্রথা সংস্থাপনের রূপকমাত্র। ইহার প্রকৃত মৰ্ম্ম এই যে, পুত্রই মাতার স্বেচ্ছাচার নিৰায়ণ করেন,