এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
বিরচিত শোক
ক্যামেরার সামনে এলে সদ্য পতি-বিয়োগ-বিধুরাও বেশ সপ্রতিভভাবে চুল আর লুণ্ঠত আঁচল গোছগাছ করে নেয় : শায়িত শবের খুব শীতল নিকটে বসে, হাত রাখে ;–যেন পাঁচটি আঙলে পঞ্চবটর ছায়—প্রাক্তন স্মৃতির ঝুরি ;
রক্ত উষ্ণ ! ঘণ্টা আগেও ।
আসল দুঃখের সঙ্গে আরো একটু বিরচিত শোক, সেলুলয়েডের বুকে গ্রপ ফোটাে সাজানো স্তবক।
—আমি দাড়াবো না, আমি সমস্ত ক্যামেরা সমস্ত চিত্রীর থেকে লক্ষ লক্ষ বনে অন্তরালে
পালাবো উর্ধ্বশ্বাসে—অখ্যাত নদীর ধারে-অনাত্নীয় দারুণ দণ্ডকে।
শুধু, পালাবার আগে । ফলন্ত বৃক্ষের মত দেয়ালের ডালগুলি থেকে প্রত্যেকটি গ্রুপ ফোটো আমি নিশ্চিহ্ন পেড়ে নিয়ে যেন
একটি একটি করে, আহা সেই শেষ রজনীতে সমর্পণ করতে পারি একমাত্র বিশ্বস্ত ঘাতকে ।
সাতচল্লিশ