পাতা:সিতিমা.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সিতিমা

কোন্‌খানটা কোমল করুণ, কোন্‌খানটা শান্ত গভীর, কোন্‌ খানটা উদ্দীপক, সব বলে দিতেন। কুমার উজ্জ্বল আর আমি একসঙ্গে এক ওস্তাদের কাছে গান বাজনা অভ্যাস করতাম। কুমার দিদির অঞ্চলের নিধি ছিলেন। মাতৃবিয়োগের পর এখানে এসে যখন লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদতেন, মহারাণী আমাকে ওঁর সঙ্গে খেলে, গল্প করে' গান করে' ভুলিয়ে রাখ্‌তে বল্‌তেন।

পুষ্পিতা। উজ্জ্বলসিং তাই তোকে সই বলে’ ডাকেন?
সিতিমা। তাই।
পুষ্পিতা। আচ্ছা, সেনাপতিমশাই চন্দ্রার দিকে চেয়ে অজ্ঞান, কুমার উজ্জ্বল সিংহেরও সেই অবস্থা, তোর দিকেতো কুমার একবারও চান্‌ না।
সিতিমা। আমিও চাই না, কেউ আমার দিকে চায়।
পুষ্পিতা। কিন্তু তুই যখন গান গাস তখন আমি দেখি যেন কুমার তোর গানটা নিঃশব্দে পান কচ্চেন।
সিতিমা। আমিও যেন দেখি, আমার গানের দোলায় তাঁর কবির প্রাণ দুলছে, উঠছে, নামছে; তাই ওঁকে আমি আমার গানের দেশের রাজা করে' রেখেছি।
পুষ্পিতা। (তর্জ্জনী নাড়িয়া) তুই কুমারজীকে ভালবাসিস্‌।
সিতিমা। বেশী আর কি বল্‌লি? আমি আকাশের চাঁদকেও ভালবাসি।
পুষ্পিতা। তুই যে গাইলি—

একদিন বুঝায়ে বলিব
বাকী যা বলিতে: