এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সিতিমা।
১১
সিতিমা। | তবে আর ভালবাসা-বাসি চাস্নে।
[একজন দাসীর দ্রুত প্রবেশ]
কিরে ভয় পেয়েছিস্ যে! |
দাসী। | আমি এমন তো আর দেখিনি! |
পুষ্পিতা। | কি দেখ্লি যা আর দেখিস্ নি? এ অন্দর মহলে নতুন কিছু দেখ্তে পেলে আমি যে বেঁচে যাই, এক ঘেয়ে তোদের মুখ আার ভাল লাগে না। |
দাসী। | [ চুপিচুপি] ঐ নাচখানার ভিতরে তরোয়াল খুলে সব সেপাই দাঁড়িয়ে আছে। চাতাল থেকে বাইরে আসবার সময় দেখ্লুম সেখানেও অমনি! |
পুষ্পিতা। | আরে, লড়াই বেধেছে; রাজা রাজধানীতে নাই, পুরী শূন্য; আর আমরা হলাম দামী জিনিস; পাছে ডাকাত পড়ে’ আমাদের নিয়ে যায়, সেই জন্য ওরা সব আমাদের পাহারা দিচ্চে। তা তোকে কেউ নিয়ে যাবে না, ভয় কি? |
দাসী। | বাইজী কি বলেন যে! [ হাসিয়া প্রস্থান] |
সিতিমা। | এত সাজসজ্জা করে চন্দ্রা কোথায় যায়? [উদ্যানের অপরদিকে একান্তভাবে নিরীক্ষণ] চল আমরা একটু আড়ালে গিয়ে দাঁড়াই। |
[ বাহিরে তুর্য্যধনি ]
পুষ্পিতা। | [ যাইতে যাইতে] দুর্গপরিখার উপর থেকে সেতু সরা’বে। লোকজনের বাইরে যাওয়া বন্ধ হবে তারই ঘোষণা। |
সিতিমা। | যাই গোবিন্দজীর পূজার আয়োজন কর্তে। আজ সন্ধ্যায় |