বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সিতিমা.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
সিতিমা
চন্দ্রা। যাও। যদি দৈববশাৎ যশের মুকুট বা রাজানুগ্রহ না পাও, আমাকে দোষ দিও না। আমি স্ত্রীলোক, স্বভাবতঃ ভীরু। হঠাৎ যুদ্ধক্ষেত্রের দৃশ্য স্বপ্নের মত আমার চক্ষের উপর দিয়ে চলে গেল দেখলাম-তা মুখেও আন্‌তে নাই। হঠাৎ মনে হ’ল, তোমাকে যুদ্ধে যেতে দেব না; আমার এই দুই বাহুর মধ্যে তোমায় আটকে রাখব। তাই এই পাগলামি। এখন নিজের উপর রাগ হচ্চে,তোমার উপরও অভিমান হচ্চে। কেন জিজ্ঞাসা কচ্চ-কেন ডাক্‌লে? তোমাকে ডাকব না, ভয় পেয়ে কাকে ডাকব? ক্ষমা কর প্রিয়তম, ক্ষমা কর। [ কণ্ঠে পতন।
উজ্জ্বল। চন্দ্রা, আমার প্রাণ, এতদিনে আমাকে ভালবাস্‌লে।
চন্দ্রা। এতদিন পরে তোমাকে ভালবেসে আমি দুঃখকে বরণ কর্‌লাম।
উজ্জ্বল। তবে আমি জন্মের মত যাই, তুমি চিরদিন সুখী থাক।
চন্দ্রা। সুখ যদি আমার জন্য রেখে থাক। যখন মহারাজ জানবেন আমি অন্যের প্রতি অনুরক্তা, আমার মাথা রাখ্‌বেন? এ রাজপুরী অনেক নারীহত্যা দেখেছে, আর একটা দেখ্‌বে।
উজ্জ্বল। তুমি তো চিরকাল আমায় ভালবাসনি, মহারাজ কি করে জান্‌বেন?
চন্দ্রা। কি করে সবাই সব জানে? সংসারে কোন কথাই গোপন থাকে না। অগোচরে যা ঘটে। সেইটে আগে রটে, বরং সকলের সামনে যেটা হয়, সেটা লোকে কম দেখে, তা' নিয়ে কম কথা কয়।
উজ্জ্বল। তবে কি কর্‌তে হবে? কিসে তোমার প্রতি মহারাজের অনুগ্রহ স্থির থাক্‌বে বল, মরবার আগে তাই করে যাব।