এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
সিতিমা।
সিতিমা। | তবু দাঁড়াও। |
উজ্জ্বল। | ব্যাপারটা কি? |
সিতিমা। | আমার গৃহে একবার এসো। |
উজ্জ্বল। | তা পারি না। তুমি রাজান্তঃপুরের স্ত্রীলোক। সৈন্যেরা অগ্রসর হচ্চে, সেনাপতি পশ্চাতে থাক্বে? |
সিতিমা। | তোমার সম্মুখে বিপদ-বিশ্বাসঘাতকতা। |
উজ্জ্বল। | বটে? তা হোক, আমি লুকাবনা সম্মুখ যুদ্ধে আমি অনভ্যস্ত নই। |
সিতিমা। | আমি তোমাকে অন্তঃপুরে ধরে রাখ্বনা; পুরীর সম্মুখের দরজা দিয়ে না গিয়ে, আমার অন্দরের গুপ্তদ্বার দিয়ে, গোবিন্দজীর মন্দিরের পিছন দিক দিয়ে, নৌকায় পরিখা পার হও। সেনাপতি যেদিকে যেতে বলেছেন যেও না। |
উজ্জ্বল। | যাবার আগে একবার পুরী প্রদক্ষিণ করে যেতে সেনাপতিই তো বলেছিলেন। এদিকে এসে |
সিতিমা। | চন্দ্রার চিঠি পেলে। আমি বুঝেছি। তোমাকে ধরবার জন্য সম্মুখে অস্ত্রধারী গুপ্তচর দাড়িয়ে আছে। আর সময় নাই; এখন এদিকে এস। [ উজ্জ্বলের হস্তাকর্ষণ ] |
উজ্জ্বল। | ছি! তুমি কি পাগল হলে?—যাই সখি। তুমি সুখে থাক; ঈশ্বর তোমায় নিরাপদ করুন। |
[ চিন্তিতভাবে অগ্রসর।
সিতিমা। | [ কাতর কণ্ঠে ] এদিক দিয়ে এস, কুমার। কথা শোন, কথা শোন। |