যুদ্ধে যাবার আগে ওঁকে একটা নূতন গান শোনাতে সাধ গেল।
কুমারকে টেনে আন্লাম। আমি গাইলাম
[ গান ]
না ছাইতে মৃত্যুর আঁধার।
এসে তুমি এসো একবার!
কুমার মন্ত্রমুগ্ধের মত বসে পড়লেন। সবটা শুন্বে তোমরা?
১ম দ্বাররক্ষী। না বাইজী, আমাদের মাথা কাটা যাবে ষে!
সিতিমা। যখন বিচারের সময় আস্বে আমি তোমাদের জন্য আর
নিজের জন্য মহারাজের পায়ে পড়ে ক্ষমা ভিক্ষে করব। তোমাদের
কোন ভয় নাই। দোহাই মহারাজের, দোহাই মহারাণীর,
এঁকে ছেড়ে দাও। উনি নিজে গিয়ে মহারাজের কাছে জবাব
দেবেন।
১ম অস্ত্রধারী। সেনাপতির আদেশে এখানে সারাদিন অপেক্ষা করে
আছি, খালি হাতে যাই কি করে?
২য় অস্ত্রধারী। বড় বাইজীর কাছেও বকশিশ্ পাবার আশা।
সিতিমা। আমিও কিছু বকশিশ্, দেব [গলার হার উন্মোচন]
উজ্জল। কেন সিতিমা?-কিন্তু বড় বাইজী কে?
সিতিমা। চন্দ্রা-তোমার প্রেয়সী; যে পাপীয়সীর জন্য কত রাজ
কন্যার সঙ্গে বিবাহের প্রস্তাব কাণে তোলনি!
উজ্জল। হা ভগবান, এ তারি যড়যন্ত্র? এ প্রেম নহে ছলনা?