পাতা:সিতিমা.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সিতিমা
১৯
সিতিমা। নিতান্তই ছলনা। সেই জন্যই অন্য পথে মহারাজের কাছে যেতে বলেছিলাম। এখন চেতনা হল?
উজ্জ্বল। মৃত্যুর চেতনা-পরজন্মে যদি কাজে আসে। এজন্মে একথা লজ্জায় কাউকে বলাও যাবেনা।
সিতিমা। পরজন্মে তবে মনে রেখ, কুমার। আর কেবল রূপের মোহে মুগ্ধ হয়োনা। আজ নর্ত্তকীকে যে রূপে দেখ্‌লে সে রূপ ভুলোনা, মুখোসখোলা রূপ দেখে লও।
উজ্জ্বল। মুখোস!
সিতিমা। প্রেমের মুখোস পরা বিশ্বাসঘাতকতা।
দ্বাররক্ষী। এবার এঁকে ছেড়ে দিতে আজ্ঞা হোক।
সিতিমা। দাঁড়াও দাঁড়াও [ অর্থদান। ]
উজ্জ্বলা। আমি কি মুর্খ। হায় মহারাজের কাছে কি বল্‌ব?
সিতিমা। তুমি কবি, তুমি নির্দ্দোষ সরল বালক। ভগবানের আশীর্ব্বাদে তুমি পুরুষত্ব লাভ কর।
উজ্জ্বল। আমাকে এ আশীর্বাদ কেন? আমি যে রাজকুলে কলঙ্ক, চোরের মত অন্তঃপুরে ধৃত, সৈনিক নিয়ম লঙ্ঘন করে মৃত্যুদণ্ডের যোগ্য। স্বহস্তে মৃত্যু আমার এ কলঙ্ক মুছে দিক।

[ অসিগ্রহণের চেষ্টা। অস্ত্রধারীগণ কর্তৃরু বেষ্টিত ও নিবারিত]

সিতিমা। কুমার, মৃত্যু কলঙ্ক মুছাতেও পারে না, ঘুচাতেও পারে না। জীবন দিয়া জীবনের কলঙ্ক মেজে ঘসে তুলে ফেলতে হবে। মৃত্যু যেখানকার যা সেইখানে রেখে যায়, আরো বরং স্তরে স্তরে নিভৃত কলঙ্ক অনাবৃত করে দেয়।