পাতা:সিতিমা.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
সিতিমা

আচ্ছ। বলতো—
মন্থায় স্তার্ণবাম্ভঃ প্লৃত কুহর চলনন্মন্দর ধ্বান ধীরঃ
কোণাঘাতেযু গর্জ্জৎ প্রলয় ঘনঘটা ন্যেন্য সংঘট্ট চণ্ডঃ।
কৃষ্ণা ক্রোধাগ্র দূতঃ কুরুকুল নিধনোৎপাত নির্ঘাতবাতঃ
কেনান্মৎ সিংহনাদ প্রতিরসিত সমো দুন্দুভি স্তাদ্যতেহয়ম্‌?

প্রহরী। ও বাবা! অত কথা মুখ দিয়ে বেরোবে কি করে?
তরুণ স। তবেই তো! কণ্ঠশুদ্ধির দরকার। তুমি মন্ত্র দিয়ে কি কর্‌তে চাও? সোনা?
প্রহরী। তা একবার ঘরে না হয় জিজ্ঞেস করেই আসি।
তরুণ স। আচ্ছ। আমি। তোমাকে মন্ত্রের গুণ দেখাচ্ছি। তুমি চোখ বোঁজ-এখন এই ফিরে। দাঁড়াও। দেখ্‌বে এখনি কোমরের এই রূপার গোট ছড়া আমি সোনার চন্দ্রহারে করে দেব। আরে ফিরোনা-খুব এঁটে চোখ বুঁজে থাক, দুই হাতে কান কসে বন্ধ কর-আমার মন্ত্র তোমার কানে গেলে সব ফস্কাবে।

[ ঝুলিতে রূপার গোট পুরিয়া, সোনার চক্রহার বাহির করণ ] এইবার আস্তে ফের। স্বাহা-স্বধা - ফট - হুম-এই দেখ।’

প্রহরী। বাঃ এযে দিব্যি সোণার চন্দ্রহার! এতো মেয়েলোকে পরে- যাই ঘরে একবার দেখিয়ে আসিগে। ভারি খুসী হবে। খাসা জিনিষটে। চাবিগাছা সোনা হয় নি। [ গমনোদ্যত ]
তরুণ স। আরে দেখাবে এখন, তাড়াতাড়িটা এত কিসের জন্য? মন্ত্র রইল আমার কাছে। আবার তো সোণা রূপো হয়ে যেতে। পারে, লোহাও হতে পারে। নিজে মন্ত্র না শিখ্‌লে সব ফাঁকি।