পাতা:সিতিমা.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সিতিমা
৩৭
তরুণ স। চিরদিন নয়। আমরা সন্ন্যাসী-কামচার। ইচ্ছা হলে কোথায় না যেতে পারি? আপনি নিশ্চিন্ত হউন। গুরুদেব একে গন্তব্য স্থানে পৌছিয়ে দেবেন।
বৃদ্ধ সন্ন্যাসী। তোমার বন্দীর স্থান অধিকার করাই অভিপ্রায়?
তরুণ সী। তা বইকি? প্রণাম ঠাকুর-পদধূলি দিন। [প্রণাম পুর্ব্বক পদধূলি গ্রহণ।
বৃদ্ধ স। ভগবান তোমায় রক্ষা করুন।
বন্দী। ভাই সন্ন্যাসী তুমি আমাকে মুক্তি দিলে শুধু তাই নয়। আমাকে কলঙ্ক মৃত্যু থেকে নবজীবনের পথে দাঁড় করিয়ে দিলে। আমি মহারাজাধিরাজের কাজে চললাম। যদি জয়ী হয়ে প্রাণ নিয়ে ফিরি, প্রভু স্বয়ং
তরুণ স। (ভীতিকণ্ঠে) আর দাঁড়াবেন না। যান-যান!

[বন্দীসহ বৃদ্ধ সন্ন্যাসীর প্রস্থান কারাগারের দ্বার ঠেলিয়া তরুণ সন্ন্যাসী প্রবেশোন্মুখ। দ্বার ঠেলার শব্দে প্রহরীর নিদ্রা ভঙ্গ।]

প্রহরী। [গা মোড়া দিয়া] আ-আ -এ-একি? আমি কি ঘুমুলাম নাকি? দরজা খোলা-মাটিতে চাবি পড়ে-বন্দী পালাল নাকি? সন্ন্যাসী বেটার ফাঁকি দিলে বুঝি?—সোনারূপার স্বপ্ন-না। এই তো সোনার চন্দ্রহার-ভিতরে গেল নাকি? [ উঠিয়া দরজার নিকটে আসিয়া ] তুমি কে হে?
তরুণ স। আমি বন্দী। তুমি ঘুমের ঘোরে কি আওড়াচ্ছিলে আমাকে একেবারে টেনে বার করেছ। তুমি বল্লে বন্দী কোথায়-বন্দী?