পশ্চিমে এক বাঁশ উচুতে সূৰ্য দীপ্যমান। রাবেয়ার চােখে গাঢ় জল আর সূর্যের কিরণে ঝিলিমিলি । খুব পশ্চিমের দিগন্তে গাঢ় কালো মেঘের মাথা তুলে ওঠা ছোট্ট পাহাড় । ঠেলে ঠেলে উঠছে। সাদা মেঘের হালকা ডিঙার পাশে আলকাতরার মতো কালো পালতোলা একটি ডিঙির ভয়াবহ প্ৰস্তৃতি। একটি মোষ ঘাস ছিড়ে খেতে খেতে হঠাৎ পশ্চিমের মেঘের দিকে চেয়ে রইল, তার পর পা ঝামড়ে ফৌৎ করে উঠল ।
কধেয়া এখন আমার গা ঘেঁষে হাঁটছে । মোষটির রকম দেখে আমার বী হাতখানা সজোরে চেপে আকড়ে ধরে দাঁড়িয়ে পড়ে । মোষটির বুকের ভিতর একটা অচেনা ভয় পাক দিয়ে গৌত্তা মেরে উঠল । কালো মেঘ । ওটা কি ? আরো দু-বার ফোঁৎ করে উঠে সামনের দুপা সামনে শূন্যে তুলে লেজ নেড়ে মুখ ঘুরিয়ে উন্মাদের মতো দিকভ্ৰান্তির নেশায় পালাতে শুরু করল গোঁ গোঁ আর্তনাদ ছড়িয়ে । পেছনে রাখাল ছুটেছে ।
মানুষও এ রকম ভয় পায়, বুকে ত্ৰাস লাগে । সব কিছু শূন্যে ঘুরতে থাকে।
রাবেয়া বললে, আমরা এভাবে বেড়াতে বেরিয়ে ভালো করিনি মামুন ! চলো ফিরে যাই !
-शिष्ट्र यांदा ? (कन ? उश (°ंशष्छ् ?
--পেয়েছি বৈকি ! কথা না বাড়িয়ে আমি বলছি, তুমি ফিরে চলো ।
-আর একটু গেলেই ফুলমতির বাড়ি । ওখানে গিয়ে সন্ধ্যার চাঁদ উঠত আকাশে, আমরা তখন ফিরে আসতাম ।
-
--কি না ! তোমার হয়েছে কি বলবে তো !
চেও না, আমি কেন ফিরতে চাই । বললেও তুমি বুঝবে না । মানুষের মন একটুও যদি বুঝতে, নিজে থেকেই এতক্ষণ ফিরে যেতে চাইতে ।
--বেশ, ফিরেই যাচ্ছি। কিন্তু তুমি অকারণ দুঃখ পেয়েছ। বউটা দেখতে যেমন মিষ্টি, তেমনি করুণ ।
--মমন্তিক । পুড়ে যাওয়া সাদা রুমালের একাংশ । পৃথিবীতে কোথাও সুন্দর কিছু নেই। ওদের চেয়ে দেখে আমার কি হয়েছে বোঝাতে পারব না । তুমি একটা ভুল পথে আমাকে ফুসলে এনেছ। আমি আসতে চাইনি ।
--ফুসলে এনেছি ? আসতে চাও নি ?
۹
পাতা:সিমার - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৫
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
