পাতা:সিমার - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাবেয়ার চোখে কান্না চিক চিক করছে । ঠোঁটে হাসির প্রলেপ । বললে, তোমার ভালোর জন্যে, তুমি আমাকে হাজার তালাক দিতে পার মামুন ! বললাম, তোমাকে আমি অত্যাচার করছি । -করছ, ঠিকই করছি ! আমি মুখ বুজে সইছি। -Sigi ! iخبھی۔ --তোমাকে আমি সইতে পারছি না । আই হেট ইউ । -ঘূণা করে সুখ পেলে, তাই করো ! এই সব কথা শুনতে শুনতে আমার হাউমাউ করে কেঁদে ফেলতে ইচ্ছে হয় । অথচ কেঁদে উঠতে পারি না । রাবেয়া বলে, আর মাত্র আট নয় দিন তোমার সংসারে থাকব । কখনো অসম্মান করনি । এখন বিরক্ত হলে, দোষ দেব না । জানি, আমার জন্যে পথেঘাটে অনেক নিযাতন সইতে হচ্ছে। সামান্য বুদ্ধির মানুষও এ কথা ধরতে পাৱে । রাবেয়া দ্রুত ছুটে গিয়ে চা করে আনল। একটু চা খাও । চা ছাড়া আর কী দেব তোমাকে ? শান্ত হয়ে একটু শুয়ে থােক। শুয়ে পড় ? চা খেয়ে সটান শুয়ে গেলাম ! চোখের প্রাস্তে গাল বেয়ে কান্না নামতে লাগল। রাবেয়াকে আমি তালাক দিলাম। দুই তালাক দিলাম। ভেতরের দুৰ্দমনীয় অস্থিরতা ঐ দুটি শব্দের উচ্চারণে থুৎকারের মতো বাইরে ছিটকে এল । কিন্তু কোনো যন্ত্রণা প্রশমিত হলো না । রাত্রে খেতে বসে মাথাটা খানিক জুড়িয়ে এসেছিল। বললাম, আমি তোমাকে দুই তালাক দিয়েছি। মাইণ্ড দ্যাট । চোখ নামিয়ে পিঁড়িতে বসে থাকা রাবেয়া মেঝোয়। নখ ঘষতে লািগল । সত্যিকার তালাকের প্রতিক্রিয়া কি এই রকম নিঃসহায় ? এই রকমই প্ৰতিবাদহীন, বিধির ? -3.3 ? ܗܵܐܺܚ -फूभि किछू दलाव ना ? --কি বলব বল ? তোমার কষ্ট দেখে, আমি কি বলব, বুঝতে পারছি না, মামুন ! মাথা তুলল। না রাবেয়া । আমি থালাতে জল ঢেলে হাত-মুখ ধুয়ে আমার নিজের খাটে চলে এলাম। আমাকে ভুল বুঝলেও, আমার কোনো উপায় ছিল bዖS