পাতা:সিরাজদ্দৌলা - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩৪
সিরাজদ্দৌলা

নূতন কথা নহে। বিলাতের বৃটিশ মিউজিয়মে রক্ষিত হস্তলিখিত পুরাতন ইতিহাসে ইহা দেখিতে পাওয়া যায়।[১]

 সিরাজদ্দৌলা ইহাতেও ধৈর্য্যচ্যুত হইলেন না। তিনি কেবল ইংরাজের উদ্ধত স্বভাবের পরিচয় পাইয়া এইমাত্র বুঝিয়া রাখিলেন যে, শীঘ্রই হউক, আর বিলম্বেই হউক, ইংরাজের উৎকট রোগের উৎকট চিকিৎসা প্রয়োগ করিতে হইবে। কিন্তু সহসা সেরূপ ব্যবস্থা না করিয়া পুনরায় দূত পাঠাইবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন।

 সিরাজদ্দৌলার অধীনে রাজা রামরাম সিংহ চরাধিপতির উচ্চপদে নিযুক্ত ছিলেন। বর্গীর হাঙ্গামার অবসান সময়ে রামরাম সিংহ মেদিনী- পুরের ফৌজদার-পদে নিযুক্ত থাকিয়া যেরূপ প্রভুভক্তির পরিচয় প্রদান করিয়াছিলেন, তাহারই পুরারস্বরূপ নবাব আলিবর্দী তাঁহাকে চরাধি- পতি নিযুক্ত করিয়াছিলেন। নবাব আলিবর্দ্দী এবং সিরাজদ্দৌলা উভ- য়েই রামরাম সিংহকে সবিশেষ শ্রদ্ধা করিতেন, এবং বিশ্বাসী রাজকর্ম্ম- চারী বলিয়া অনেক বিষয়ে তাঁহার পরামর্শ গ্রহণ করিতেন। সিরাজ- দ্দৌলা রাজা রামরাম সিংহের উপরে কলিকাতায় দূত পাঠাইবার ভার। পণ করিলেন। খোজা বাজিদের অপমানের কথা চারি দিকে রাষ্ট্র হইয়া পড়িয়াছিল;—যাহারা খোজা বাজিদের ন্যায় সম্রান্ত রাজদূতকে এমন অপমান করিয়া তাড়াইয়া দিতে কিছুমাত্র ইতস্ততঃ করিল না,

  1. Hasting's MSS. vol. 29.209. “The Nabab at the same time sent to the President and Council, Fuckeer Tougar, with a mes- sage much to the same purport, which as they did not intend to cemply with, looking upon 'it as a most unprecedented demand, treated the messenger with a great deal of ignoming and turned him out of their bounds without any answer at all.”