পাতা:সিরাজদ্দৌলা - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রহস্য-নির্ণয়।
১৩৭

দ্দৌলা রাজদূত পাঠাইয়া দিয়াছেন,—সর্ব্বনাশ! আমরা কি বাতুল যে, তাঁহাকে এমন করিয়া অপমান করিব?[১]

 পরবর্ত্তী ইতিহাসলেখকেরা যাহাই বলুন, একজন সমসাময়িক ইতিহাসলেখক কিন্তু একেবারে সকল কথা অস্বীকার করিতে পারেন নাই। তিনি বলেন যে, “রাজা রামরাম সিংহের ভ্রাতা যেদিন কলিকাতায় উপনীত হন, সেদিন গবর্ণর ড্রেক সাহেব রাজধানীতে ছিলেন না;—সহর-কোতোয়াল হলওয়েল সাহেবের সঙ্গেই রাজদূতের প্রথম সন্দর্শন ঘটে। তৎপরদিন ড্রেক সাহেব শুভাগমন করিলে মন্ত্রিসভার অধিবেশন হইল। যাঁহারা উপস্থিত ছিলেন, সকলেই বলিলেন যে, এ কেবল উমিচাঁদের কুটিল কৌশল। কারণ, কাশিমবাজার হইতে সংবাদ আসিয়াছিল যে, ঘসেটি বেগমের আশা ভরসা নির্ম্মূল হয় নাই। এরূপ অবস্থায় রাজদূত যে পত্র আনয়ন করিয়াছিলেন, তাহা সকলেরই চক্ষে সন্দেহাত্মক বোধ হইতে লাগিল। কেহই তাহার উত্তর দেওয়া আবশ্যক মনে করিলেন না। রাজদূতকে বিদায় দিবার আদেশ হইলে, অশিক্ষিত ভৃত্যবর্গ একে আর করিয়া তুলিল;—তাহারা রাজদূতকে সবিশেষ অপমান করিয়া তাড়াইয়া দিল।”[২] ইহাতে পাছে

  1. ইংরাজদিগের উকীল তৎকালে এইরূপ মৰ্মেই নবাব-দয়ারে ‘কৈফিয়ৎ প্রদান করিয়াছিলেন। সেই উকীলের ওকালতি এখন ইতিহাসেও খালাত করিয়াছে।
  2. The Governor returning the next day-summoned a Council of which the majority being prepossessed against Omichand, con- cluded that the messenger was an engine prepared by himself to