একজন ইতিহাস-লেখক বলিয়া গিয়াছেন যে, “পঞ্চদশ জন সাহসী রীপুরুষ একখানিমাত্র নৌকা লইয়া অগ্রসর হইলেই দুর্গবাসীদিগের দুর্দ্দশার অবসান হইতে পারিত; কিন্তু হায়! পলায়িত ইংরাজ পুরুষের মুখে পঞ্চদশজন বীরপুরুষও অগ্রসর হইলেন না।”[১]
হলওয়েল দুর্গরক্ষার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াও সিরাজদ্দৌলার গতিরোধ করিতে পারিলেন না; নবাব-সেনা ক্রমে ক্রমে দুর্গমূলে অগ্রসর হইতে লাগিল। ২০শে জুন সহস্র সহস্র নবাসেনা প্রত্যুষেই দুর্গমূলে সমবেত হইতে আরম্ভ করিল। তখন দুর্গবাসী ইংরাজগণ নিতান্ত ভীত হইয়া আত্মসমর্পণ করিবার জন্য হলওয়েকে পুনঃ পুনঃ অনুরোধ করিতে লাগিলেন। হলওয়েল আর কি করিবেন? তিনি অনন্যোপায় হইয়া ইংরাজের বিপদভঞ্জন উমাচরণের শরণাপন্ন হইলেন। পুর্ব্বকাহিনী স্মরণ করিয়া উমিঁচাদ ইংরাজকে প্রত্যাখ্যান করিলেন না। তাঁহাদের কাতর ক্রন্দনে অভিভূত হইয়া নবাব-সেনানায়ক রাজা মাণিকচাঁদের নিকট পত্র লিখিতে প্রবৃত্ত হইলেন। “আর না, যথেষ্ট শিক্ষা হইয়াছে; অতঃপর নবাব যাহা বলিবেন, ইংরাজেরা তাহাই শিরোধার্য করিবেন,”[২] ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কথায় নবাব রায়দুরের অনুগ্রহভিক্ষার জন্য উমিচাঁদ মাণিকচাঁদের নামে পত্র লিখিয়া