রোজার ড্রেক' সাহেব বাহাদুর সভাপতি, এবং ওয়াট্স, হলওয়েল ও মেজর কিলপ্যাট্রিক সদস্যের আসন গ্রহণ করিলেন।[১]
২২শে আগষ্টের বৈঠকে সভাপতি মহাশয় সকলকে এই বলিয়া আশ্বাস দিলেন যে,—আর ভয় নাই; মাদ্রাজ হইতে শীঘ্রই গোরাপল্টন আসিতেছে। কিন্তু সেই দিনই সংবাদ আসিল যে, ওলন্দাজেরা ইংরাজদিগের আবেদনপত্রখানি নবাবদরবারে পাঠাইয়া দিতে ইতস্ততঃ করিতেছেন। তখন পত্রখানি কিরূপে নবাবের নিকট প্রেরিত হইতে পারে, তাহার জন্য পরামর্শ চলিতে লাগিল। ঘটনাক্রমে সেইদিন কলিকাতা অঞ্চল হইতে খোজা পিদ্রু এবং এব্রাহিম জেকবস্ নামক দুইজন আরমানী বণিক ফলতায় আসিয়া উপনীত হইয়াছিলেন। তাঁহারা ইংরাজ হিতৈষী উমিচাঁদের নিকট হইতে একখানি গুপ্তলিপি আনিয়াছিলেন। সর্ব্বসমক্ষে সেই পত্র পঠিত হইল। হায়! উমিচাঁদ; —সেই পত্রে তিনি লিখিয়াছিলেন যে,“চিরদিনও যেমন, এখনও সেইরূপ ভাবে তিনি ইংরাজের কল্যাণকামনায় নিযুক্ত রহিয়াছেন। আর ইংরাজেরা যদি রাজা রাজবল্লভ, রাজা মাণিকচাঁদ, জগৎশেঠ, খোজা বাজিদ প্রভৃতি পাত্রমিত্রের সঙ্গে গোপনে গোপনে চিঠিপত্র চালাইতে চান, তিনি তাহাও যথাস্থানে পৌঁছাইয়া দিয়া সদুত্তর আনাইয়া দিবেন।”[২] ইতিহাস লিখিতে বসিয়া যে ইংরাজেরা এবং যে হলওয়েল