খোজা বাজিদ প্রভৃতি প্রধান প্রধান সওদাগরগণ একান্ত উৎসুক।”[১] হলওয়েল সাহেব সংবাদ পাইলেন যে, ‘কলিকাতার দুর্গ একরূপ অরক্ষিত। তাহার চারিটি বুরুজই অকর্মণ্য। কলিকাতার লোকে নিরুদ্বেগে নিদ্রা যাইতেছে। তাহাদের বিশ্বাস যে, নবাব-দরবার হইতে ইংরাজাগমনের অনুমতি হইবার সম্ভাবনা দেখিয়া কেহ আর কলিকাতা রক্ষায় মনোেযোগ দিতেছে না।’[২] এই সকল সংবাদে ফলতার ইংরাজদল আশায় আনন্দে মাদ্রাজের সেনাদলের অপেক্ষা করিতে লাগিলেন।
ক্লাইব এবং ওয়াট্সন্ পুরাতন বন্ধু। কিছুদিন পূর্ব্বে এই উভয় বন্ধু মিলিত হইয়া মালাবার উপকূলের এক লাভজনক যুদ্ধব্যাপারে লিপ্ত হইয়াছিলেন। সেখানে সুবর্ণদুর্গের বন্দরে মহারাষ্ট্রীয়দিগের যুদ্ধজাহাজের আড্ডা ছিল; অংগ্রীয়া নামক একজন মহারাষ্ট্র-বীর তাহার নৌসেনাপতি-পদে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি কালক্রমে মহারাষ্ট্রশক্তিকে অঙ্গুষ্ঠ প্রদর্শন করিয়া সমুদ্রবক্ষে যাহার তাহার অর্ণবপোত লুণ্ঠন করিয়া অর্থসঞ্চয় করিতেন। তাঁহার অত্যাচারে কি মহারাষ্ট্রীয়সেনা কি ইউরোপীয় বণিক, সকলেই সমানভাবে উত্যক্ত হইয়া উঠিয়াছিলেন। ক্লাইব এবং ওয়াট্সন্ বহুসংখ্যক সেনা লইয়া নিরুদ্বেগে সমুদ্রকূলে বসিয়া রহিয়াছেন; সেই সুযোগ পাইয়া মহারাষ্ট্রীয়গণ অর্থবলে তাঁহাদের সহায়তা ক্রয় করিলেন; এবং সেই সমবেতশক্তি সুবর্ণদুর্গ চূর্ণ করিয়া ফেলিল। হিন্দুদিগের নৌ-সেনাবল প্রবল হইয়া উঠিতেছিল, এই উপলক্ষে তাহা চিরদিনের মত বিলুপ্ত হইয়া গেল। ক্লাইব এবং ওয়াট্সন্