পাতা:সিরাজদ্দৌলা - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২৬
সিরাজদ্দৌলা।

জাল করায় সকল বিপদ কাটিয়া গেল।[১] কেহ কেহ ক্লাইবের কলঙ্কমোচনের জন্য লিখিয়া গিয়াছেন,—“ওয়াটসনের সম্মতি লইয়াই তাঁহার নাম জাল করা হইয়াছিল।” এ কথার বিশেষ গৌরব দেখিতে পাওয়া যায় না; ক্লাইব নিজেই বলিয়া গিয়াছেন, “ওয়াটসন্ সম্মত না হইলেও তিনি তাঁহার নাম জাল করিবার অনুমতি প্রদান করিতেন।”[২]

 এই জাল সন্ধিপত্রের আলোচনা করিতে গিয়া ইতিহাসলেখকেরা গলদঘর্ম্ম হইয়াছেন। ক্লাইব কিন্তু মহাসভায় সাক্ষ্য দিবার সময়ে অম্লানচিত্তে মুক্তকণ্ঠে বলিয়া গিয়াছেন যে,—“তিনি কখনও এ কথা লুকাইবার চেষ্টা করেন নাই। এরূপ ক্ষেত্রে এবম্প্রকার জাল জুয়াচুরি যে অনায়াসেই করা যাইতে পারে, ইহাই তাঁহার মত। একবার কেন,আবশ্যক হইলে, এরূপ অবস্থায় আরও একশ বার তিনি এরূপ কার্য্য করিতে প্রস্তুত।”[৩]

 যিনি ভারতবর্ষে বৃটীশ-শাসনের ভিত্তিমূল সংস্থাপনের আদি পুরুষ, তাঁহার ধর্ম্মবুদ্ধি যে এতদূর নীচগতি প্রাপ্ত হইয়াছিল, সে কথা স্মরণ করিয়া ইংরাজ ইতিহাসলেখকেরা লজ্জায় অধোবদন হইয়া রহিয়াছেন;—একমাত্র

  1. Mr. Lushington was the person who signed Admiral Watson's name, by his Lordship's order.—Ibid.
  2. As far as Clive's reputation is concerned, the question is of no moment, as he declared (Evidence in first Report, p. 154) that he would have ordered Admiral Watson's name to be put, whether he had consented or not.—Thornton's History of the British Empire in India vol, i. p. 256 note.
  3. His Lordship never made any secret of it; he thinks it warrantable in such a case, and would do it again a hundred times.— Ibid.