প্রকাশ্য রাজপথে নরহত্যা করিত;—বহু রমণী সম্ভোগ করিয়া এবং নরহত্যায় পুণ্যলাভ করিয়া মহম্মদের মতের প্রধান দুইটী উপদেশ পালন করিয়া মোসলমান চরিত্রের আদর্শরূপে প্রতিভাত হইত![১] ইহাই যে এদেশের সাধারণ জনশ্রুতি হইয়া দাঁড়াইয়াছে, তাহাতে সন্দেহ নাই! এতদিনের পর এই জনশ্রুতির প্রত্যেক কথার সত্য মিথ্যা আলোচনা করিবার চেষ্টা করা বিড়ম্বনা মাত্র! তথাপি জনশ্রুতিকে সত্য বলিয়া গ্রহণ করিবার পূর্ব্বে দুই একটি কথার আলোচনা করা আবশ্যক।
যে লেখক একজন গতজীব হতভাগ্য নরপতির সমাধি মন্দিরের জীর্ণ তোরণদ্বারে দাঁড়াইয়াও, তাঁহাকে এবং তাঁহার ধর্ম্ম প্রবর্ত্তক মহম্মদকে লক্ষ্য করিয়া, এত অধিক সরস পদ-লালিত্য বিকাশ করিতে ইতস্ততঃ করেন নাই, তিনি একজন বর্ত্তমান যুগের ইংরাজি-শিক্ষিত নব্য-বাঙ্গালী! সমসাময়িক ইংরাজ এবং বাঙ্গালী মিলিয়া যাঁহার সর্ব্বনাশ করিয়াছিল, পরবর্ত্তী ইংরাজ এবং বাঙ্গালীর নিকটেও তিনি সুবিচার লাভ করিতে পারেন নাই। বাঙ্গালী সিরাজদ্দৌলাকে কি জন্য সিংহাসনচ্যুত করিয়াছিল, এ পর্যন্ত তাহার বিচার হয় নাই; কিন্তু এ দেশে বাণিজ্য করিতে আসিয়া, রাজবিদ্রোহীদিগের সঙ্গে গুপ্তমন্ত্রণায় মিলিত হইয়া, ইংরাজগণ কি জন্য সিরাজদ্দৌলার সর্ব্বনাশের সহায়তা করিয়াছিলেন, ইংলণ্ডের লোকে তাহার বিচার করিয়াছিল। সেই বিচারে আত্মপক্ষসমর্থনের জন্য অভিযুক্ত ইংরাজগণ[২] সিরাজদ্দৌলার যে সকল