পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় অঙ্ক
১০৫
বলেছিলেন। আপনার কথামত ক্লাইবকে পত্র লেখা হয়, যে নানাজাতি লোক নবাবের কার্য্যে নিযুক্ত আছে,—কয়েকজন ফরাসী নবাব-কার্য্যে নিযুক্ত থাকায় সন্ধি ভঙ্গ হয় না। তাতে দুষ্ট ক্লাইব উত্তর দিয়েছে, যে যারা ইংরাজের শত্রু তারা নবাবের শত্রু হওয়া উচিত। ইংরাজের শত্রুকে যে আশ্রয় দেবে, সে ইংরাজের শত্রু। দরবারেও সকলের মত শ্রবণ কর্‌লেন।
মুঁসালা। জনাব, বান্দা শুন্‌লে, লেকেন জনাবের দরবারে সব জনাবের দুশমন, ইংরাজের সহিত সলা করিতেছে, এ কথা আমি প্রমাণ করিতে প্রস্তুত। আমরা নবাবী কার্য্যে থাকিলে, নবাবী ফৌজকে যুদ্ধ শিখাইলে, নবাবের পক্ষে লড়িলে, ইংরাজ হারিয়া যাইবে,—সেই জন্য হামাদিগকে তাড়াইতে চায়, হাল এই:—জনাব যাহা ভাল বুঝিবেন করিবেন। ভাবিয়া দেখুন, কেহই নবাবী আজ্ঞা পালন করে না। নন্দকুমারকে হামাদের চন্দননগর রক্ষার্থে হুকুম দেন, মাণিকচাঁদকে বি পাঠান, কিন্তু উমিচাঁদ ইংরাজ পক্ষ হইতে আসিয়া সব খারাপি করিয়া দিল, কেউ আমাদের ওয়াস্তে অঙ্গুলি তুলিল না। যদ্যপি ফরাসী রাজ্যে কেহ এরূপ অবাধ্য হইত, তাহা হইলে তোপে উড়াইয়া দেওয়া হইত।
করিম। সাহেব এইটুকু যদি বুঝ্‌তে, তা’হলে পল্‌তায় ইংরাজের রসদ জোগাতে কি?
মুঁসালা। হাঁ সাহেব চুক হইল। ইউরোপে ইংরাজ আমাদের পড়সি, এক ধর্ম্ম মানে, তাহারা খানা বেগর মরে, দেখিতে পারিল না।
করিম। সাহেব, তোম্‌রা রং করেছ, না তোমাদের ঐ রকম সাদা রং?
মুঁসালা। এ কিরূপ প্রশ্ন?
করিম। কেন সাহেব, এই ক’বছর ধ’রে তোমাদের মত সাদা রঙ্গের