পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় অঙ্ক
১১৭
মীরজাঃ। (পাঠান্তে) সন্ধিপত্রের মর্ম্ম, রাজা মাণিকচাদ স্বরূপ বলেছেন। আমরা কি সম্মত হব?
সকলে। নিশ্চয়, এ দৌরাত্ম্য সহ্য হয় না।

করিম চাচার প্রবেশ

মীরজাঃ। এ কি, করিম চাচা এখানে কেন!
করিম। কেন চাচা, সওকতজঙ্গকে গদী দিতে গিয়েছিলে, আমি এক পাশে পড়ে আছি, তাতে ক্ষতি কি? আমার এখানে আসবার বড় দরকার নাই, তবে রায়দুর্লভ চাচার নুন খেয়েছি, উনি গালে হাত দিয়ে, মুখটী চুপ ক’রে বলেছিলেন, “নবাবের ভাবটা কি বলতে পারো,” তাই বল্‌তে এলুম, ভয় নাই।
রায়দুঃ। চাচা, কিসে জান্‌লে—কিসে জান্‌লে?
করিম। নবাব, বুড়ো মাতামহর কথা মনে ক’রে, আর বুড়ী বেগমের অনুরোধে, বার বার মাপ্ করেছে, এবারও মাপ করবে। যখন দরবার বসেছিল, মীরমদন গোলন্দাজ নিয়ে তোয়ের ছিল জেনো; নবাবের একটু ইসারা পেলে, আর কেউ বাড়ী ফিরতে না। তোমরা যত গাঁট পাকাচ্ছ, নবাব তত গাঁট পাকালে অমন তোড়া তোড়া বুলি ঝাড়তো না, আঁধার রেতে তোপের মুখেই কথা কইতো। বাবা, রাগ্‌লেই তো গর্দ্দানা নিতে চায়, ক’টা গর্দ্দানা নিয়েছে বলো? যদি গর্দ্দানা নিতো, তাহলে এতদিন কন্ধকাটা হ’য়ে পরামর্শ আঁট্‌তে হতো। চাচা, একটা কথা বলি শোনো;—কাল্‌কের ছোঁড়া, মাতামহর আদরে আদরেই বেড়িয়েছে, তোমাদের প্রবীণ ছক্কাবাজির মধ্যে এখনো সেঁধোয় নাই। রাগে দু’ কথা বলে, আবার বাড়ী বাড়ী গিয়ে পায়ে ধ’রে সাধে;—এই দু’ নৌকায় পা দিয়েই ছোঁড়া মজ্‌তে বসেছে। যদি তেরিয়া হ’য়েই