পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২০
সিরাজদ্দৌলা
ইংরাজ তোফা কোল্‌কাতা গের্দ্দো ক’রে নিলে। বল্‌তে বলে ব্যবসায়ী কুঠি, কিন্তু ওদের কুঠির মত ক’টা নবাবী কেল্লা আছে বল? কত বড় ধড়িবাজ,—উমিচাঁদকে কয়েদ কর্‌লে, পরিবারবর্গ একগাড়ে গেল, টাকা লুট কর্‌লে,—আবার তাকেই প্রাণের দোন্ত করে নেছে! তোমরাও পরম দোস্ত ভাবছ। চাচা, চোখ চেয়ে কাজ করো।
মীরজাঃ। আচ্ছা শুনিনা, তোমার কি পরামর্শ?
করিম। কেন চাচা পরামর্শ তো পড়ে রয়েছে। সোজা পথে চলো, নবাবের খয়ের খাঁ হও, মুখে একখানা পেটে একখানা নয়। আর বাঁকা পথে চল্‌তে চাও, তাও তলে তলে যোগাড় করো। সৈন্য সামন্ত যোগাড় ক’রে, কোমর বেঁধে আপ্‌নারা লেগে যাও, এক হাত বরাত ঠুকে দেখো। কিন্তু চাচা, ইংরেজের কোটের ল্যাজ ধর্‌লে, একূল ওকুল দু’কুল যাবে। দুধ দিয়ে ঘরের ভেতর কাল সাপের ঝাঁক পুষো না, সকলে মিলে ওদের আগে উচ্ছেদ করো।
মীরজাঃ। তারপর আমরা কোমর বেঁধে লাগবো। টাকার সরবরাহ কে কর্‌বে চাচা?
করিম। চাচা, পরিজান সরবরা কর্‌বে। ঘসেটীবেগম অনেক মাল সরিয়েছে, নবাব জোর সিকি পেয়েছে, সে মাল তোমাদের হাতে লাগ্‌বে,—জলের মত খরচ ক’রো,—আর ঠেশজি, এক বছরের সুদের মায়া রেখো না। কিন্তু চাচা, ছাতি তোমাদের করতে হবে।
রায়দুঃ। নাও, এখন যাও।
করিম। যাচ্ছি বাবা, আর একটা কথা শোনো।
রায়দুঃ। কি বল্‌ছ?
করিম। চাচা, মুসলমানেরা তো বরাবর নবাবী নিয়ে আপনা আপনি কাটাকাটি করে, এবারও না হয় কচ্ছে। কিন্তু চাচা, হিন্দুর সুবিধা