পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় অঙ্ক
১২১
মত নবাব তো এ নবাব ব্যাটার মত কেউ হয় নি,—সব বড় বড় কাজই হিন্দুর! তা চাচা তোমরা কেন বিরূপ বল দেখি?
রায়দুঃ। চাচা, তুমিও তো দরবারে যাও! নবাবের খামখেয়ালি চেহারা তো দেখেছ। রাজা মাণিকচাঁদের গর্দ্দানা যেতে যেতে র’য়ে গেছে, দশ লাখ টাকা দিয়ে ছাড়ান পেয়েছেন; শেঠজীও গুরুবলে আজ মাথা বাঁচিয়েছেন। অপমান তো কথায় কথায়, কথায় কথায় কাজে জবাব! ভগবানকে ডেকে দরবারে প্রবেশ কর্‌তে হয়, আর ভগবানকে ডেকে দরবার থেকে বেরুই,—ভাবি আজকের দিন ভগবান রক্ষা করেছেন। তোমার কি ব’লনা, গাঁজা-গুলি খেয়ে বেশ আছ।
করিম। চাচা, এটা কি নবাবের দোষে না তোমাদের মনের দোষে—এটা একবার ভাল ক’রে দেখেছ কি? কই মোহনলাল প্রভৃতিকে তো অমন দুর্গা নাম জ’পে দরবারে যেতে আস্‌তে দেখি নি?
জগৎ। নিন, রাত্রি হয়েছে, আর ভাব্‌ছেন কি? আপনি সম্মত হ’ন। আসুন আমরা সন্ধিপত্রে স্বাক্ষর করি।
মীরজাঃ। বিস্তর টাকা চায়—বিস্তর টাকা চায়!
জগৎ। উপায় নাই। ভাব্‌বেন না, আপনি গদীতে বস্‌লে তো টাকা দেবেন? নবাব ভাণ্ডারে টাকার অভাব নাই।
করিম। (স্বগত) চাচা কিছু বুঝ্‌লে? কি বল্‌চ বাবা কামিনীকান্ত? চাচা তুমি এমন বেল্লিক কেন? বাঙ্গালীর নাম রাখা চাই নি! কি রকম—কি রকম প্রাণ কামিনী? আর কি রকম কি! বাঙ্গালী আপনার ভালই খুঁজ্‌বে—এইটে চাচা ভেবেছ! বটে বটে চাঁদকামিনী, একটা চুমো দাও। কি বল—নাম রাখা চাই—কেমন?