পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
সিরাজদ্দৌলা
মীরজাফর, তোমার হাতে আমি সিরাজকে অর্পণ কর্‌লেম্, আমায় শপথ ক’রে বলো, তুমি রক্ষা করবে?
মীরজাঃ। (স্বগত) বৃক্ষের মূলচ্ছেদ ক’রে শিরে সলিল সেচন!
বেগম। মীরজাফর, নীরব কেন? নাও—নাও—আমার সিরাজকে নাও। যে বঙ্গ-বিহার-উড়িষ্যার অধিপতির প্রাধানা বেগম ছিল—যার সম্মুখে শত শত জানু ভূমিস্পর্শ করেছে, শত শত রাজমুকুট অবনত হয়েছে, (জানু পাতিয়া) সেই আজ অবনত মস্তকে ভূমিতে জানু স্পর্শ ক’রে ভিক্ষা চাচ্ছে;—ভিক্ষা দাও—সন্তান-ভিক্ষা দাও—বঞ্চনা ক’রো না।
মীরজাঃ। (জানু পাতিয়া) গোলামকে অপরাধী কচ্ছেন, গোলামকে অপরাধী কচ্ছেন! আমি কোরাণ স্পর্শ ক’রে প্যাগম্বরের নামে শপথ কচ্ছি,—কার সাধ্য বঙ্গ-বিহার-উড়িষ্যার অধিপতির তিলমাত্র অনিষ্ট করে। অমি কোরাণ স্পর্শ ক’রে সেনাপতিত্ব গ্রহণ কর্‌লেম। আমি কল্য যুদ্ধযাত্রা কর্‌বো, ইংরাজ দমন না করে প্রতিনিবৃত্ত হবো না।
বেগম। মীরজাফর, আমি নিশ্চিন্ত হই?
মীরজাঃ। বেগম-মহিষী, আর কেন?—আল্লার দোহাই,—প্যাগম্বরের দোহাই, আল্‌কোরাণের দোহাই! (সিরাজদ্দৌলার প্রতি) চলুন, সৈন্য সমাবেশ করিগে।
সকলের প্রস্থান