УФре সিরাজদৌলা লছমন। না জনাব, শক্রর চর সকলকেই বিমুখ করেছে, ঘসেটা বেগম গুপ্তধন বিতরণ করে সকলকে আপনার পক্ষ ত্যাগ করতে উত্তেজনা করেছে। বিদ্রোহীর কৌশলে সকলের মনে ধারণা, ইংরাজ-বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করা বাতুলত । সকলের হৃদয়ে ধারণা জন্মেছে, যে ইংরাজ সদাচারী, দুৰ্দ্দম নবাবকে দমন ক’রে, শাস্তি স্থাপনের নিমিত্ত মুর্শিদাবাদে অগ্রসর হচ্ছে ; আর যুদ্ধ-বিগ্রহ হবে না, সকলে স্বথেস্বচ্ছন্দে কালযাপন করতে পাবে। প্রজারা—আবালবৃদ্ধ বনিতা— কোম্পানির জয় গান কচ্ছে, কতক্ষণে কোম্পানীর সৈন্ত নগর প্রবেশ করবে, তার অপেক্ষা কচ্ছে, কথার সময় নাই, পলায়ন করুন। সিরাজ । লুৎফউন্নিসা, আর বিলম্ব ক’রো না, তোমার রত্নাদি যা কিঞ্চিৎ থাকে, শীঘ্ৰ ল’য়ে এসে ;–এ বালিকাকেও সঙ্গে নিয়ে এসে । একে কোথায় রেখে যাবো,—আমাদের যে দশা, বালিকারও সেই দশ হবে । আহা বৎসে, কেন তুমি রাজগৃহে জন্মগ্রহণ করেছ, কুটারবাসিনী হ’লে, এ গভীর রজনীতে গৃহত্যাগ করতে হতো না ! লুৎফউন্নিসা ও উম্মৎ জহুরার প্রস্থান লছমন । জনাব, শীঘ্র আমুন, আমি গুপ্তদ্বারের নিকট উঠু ল’য়ে যাই । সিরাজ। লছমন সিং, তোমার রাজভক্তিই তোমার পুরস্কার । আমি আর নবাব নই, তোমায় কি পুরস্কার প্রদান করবো, ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন ;–ঈশ্বর-কৃপায় চিরজীবন অসহায়কে সাহায্য প্রদান করে । লছমন । জনাব, আর জীবনে সাধ নাই। যদি প্রাণদানে জনাবকে সিংহাসন দিতে পারতেম, জীবন সার্থক জ্ঞান করতেম। হায়, কেন পলাশীক্ষেত্রে মীরমদনের পাশ্বে শয়ন করি নাই ! जल्लमन जि९tङ्ख्न थइॉन