পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক ృఅతి পুরী পরিত্যাগ করেছিলেম, সেইরূপ উচ্চ হাহাকার রাজপুরীতে উখিত হবে । বেগম। পাপীয়সী, রাক্ষসী, এখনো তোর শান্তি নাই ? এখনো তোর মনস্কামনা পূর্ণ হয় নাই ? আরে কুলকলঙ্কিনি, আরে দুশ্চারিণী । তোর কি কিছুতেই তৃপ্তি নাই ? কুলে কলঙ্ক দিলি, রাজপুরে সৰ্ব্বনাশ কয়লি, তবু তোর মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হলো না ? বসেট । না, এখনো পূর্ণ হয় নি! আমি দুশ্চারিণী,—আমিনা দুশ্চারিণী নয় ? আমিনা তোমার কন্যা, তার পুত্রের সিংহাসন, আমি তোমার কন্যা নই? এক্রামদ্দৌলার পুত্রের কি রাজসিংহাসন বাসনা নাই ? কেন—কি নিমিত্ত আমাদের বঞ্চিত করেছ ? পক্ষপাতী, কন্যামমতা বর্জিতা, এখনো আমার তৃপ্তি সাধন হয় নাই,—তোমার উচ্চ আৰ্ত্তনাদ । এখনো শ্রবণ করি নি, এখনো আমিনা বক্ষে করাঘাতে রোদন করে নি, এখনো সিরাজ-মহিষীরা পতিশূন্ত হয় নি, এখনো লালকুঠি ভঙ্গের প্রতিশোধ হয় নি, এখনো আমার বন্দী অবস্থার প্রতিশোধ হয় নি, এখনো হোসেনকুলির শোণিতের প্রতিশোধ হয় নি। বেগে মোহনলালের প্রবেশ মোহন । মা, নবাব কোথায় ? বেগম । বৎস কি সংবাদ ? তুমি কি রণজয় ক’রে এসেছ ? তোমার সৈন্য কোথায় ? তারা কি শক্র দমন করেছে? শুনছি ফিরিঙ্গির মুর্শিদাবাদ অভিমুখে আসছে, তাদের প্রতিরোধের কোন উপায় করেছ কি ? মোহন। মা, আমি একা, আর আমার সৈন্য-সামন্ত নাই। নবাব কোথায় বলুন, তাকে গদীতে বসিয়ে, এখনি সৈন্ত স্বষ্টি করবো, আমার উত্তেজনায় কোট বক্ষ উত্তেজিত হবে, মুর্শিদাবাদে কখনই শক্ৰ প্রবেশ করবে না, নবাব কোথায় ?