পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সিরাজদ্দৌলা
রাজা রাজবল্লভ, সেনাপতিকে ধনাগার প্রদর্শন করো। মীরমদন যাও।
মীর মঃ। নবাবের আজ্ঞা পালনে গোলামের আনন্দ।
রাজবল্লভ ও মীরমদনের প্রস্থান
সিরাজ। লালকুঠি ভঙ্গ হবে, ঘসেটী বেগমের ধনরত্ন রাজকোষে আসবে, এতে আপনারা সকলে অসন্তুষ্ট! মন্ত্রণা স্থান, সৈন্যসঞ্চয়ের অর্থ নষ্ট হচ্ছে! মৃত্যুকালে নবাব বৃথা আয়াস পেয়েছিলেন, রাজকার্য্যে সাহায্য দান কর্‌তে বৃথা অনুনয় করেছিলেন। খলের খলতা বিনয়-বাক্যে মোচন হয় না। বিদ্রোহীর গৃহভঙ্গ, বিদ্রোহীর ধনলুণ্ঠন অন্যায়কার্য্য! কি সুহৃৎবর্গে আমরা পরিবেষ্টিত!
সিরাজের প্রস্থান
রায় দুঃ। আর এ স্থানে নয়, প্রস্থান করুন। ভগবান অর্ব্বাচীন নবাব-হস্তে আজ জীবন রক্ষা করেছেন, এ নিমিত্ত ধন্যবাদ দিন।
স্বরূপ। আলিবর্দ্দীর মধ্যম কন্যা আয়মনা বেগমের পুত্র সকতজঙ্গের নিকট কি পূর্ণিয়ায় দূত প্রেরিত হ’য়েছে?
মীর জাঃ। হ্যাঁ, মীরণ তথায় প্রেরিত হয়েছে। ওঃ এমন অপমান জন্মেও হয় নাই। কি আশ্চর্য্য! ঘৃণিত, নীচবংশোদ্ভব, নবাবের কুৎসিত কার্য্যের সহচর মোহনলাল মন্ত্রীপদে স্থাপিত হলো, পথের কাঙ্গাল মীরমদন সেনাপতি, এদের নিকট আমাদের অবনত মস্তকে থাক্‌তে হবে! রাজকার্য্য এই নীচজন-নির্ব্বাচিত কর্ম্মচারীগণের দ্বারা সম্পন্ন হবে!—জীবনে ঘৃণা হচ্ছে!
রায় দুঃ। হেথায় আর বৃথা আক্ষেপ উচিত নয়
জগৎ। চলুন, নবাব আমাদের আর এখানে একত্র দেখ্‌লে প্রাণদণ্ডের আজ্ঞা দেবে।সকলের প্রস্থান