পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক ১৭৩ চিনছি—এ হালার পুত হালারে ধরাইমু। সে পেতনার বেটী, সয়তানের নানি, এবার ঠিক বলচে। হালা—নাক-কান কাটুবা ! সিরাজ। ঐ বুঝি ফকির আসছেন। দানসার প্রবেশ দানসা। আজ কি ভাগ্যি খোলচে, আস্তানায় অতিথ আসছে। এই ক’দিন ধরি চুরচি, একটা অতিথ পালাম না, আজ আপনার আসছেন, ভাগ্যি ফিরূচে । সিরাজ। ফকির সাহেব, আমরা মোসাফের, বড় ক্ষুধায় কাতর। আপনি যদি কিঞ্চিৎ ভোজ্য বস্তু দেন, আমাদের জীবন রক্ষণ হয়। এই বালিকা পৰ্য্যন্ত তিন দিন অনাহারে ; আপনাকে যথাবিধি পূজা প্রদান করবো । দানস। । আহা এমন অতিথ আজ পাইলাম ! এখনি খিচরি পাকাবো অ্যানে, এই সিন্নি আনবার যাতিচি ; সিন্নি খাইয়ে একটু পানি খাও । (স্বগত) সব ছাপাইছো, জুতা ছাপাইবার পারো নাই ! ( প্রকাশুে ) এই আলাম, একটু বসেন, আহা বর কেলেশ পাইচেন —বর কেলেশ পাইচেন । দানসার প্রস্থান লুৎফ। প্রণেশ্বর—পালাও, আর এক তিল বিলম্ব ক’রো না, ও নিশ্চয় তোমার শক্র, ও তোমায় চিনেছে, ও তোমার পাদুকার পানে বার বার দৃষ্টি করেছে। এ ভণ্ড ফকির, বিলম্ব করে না, পালাও— পালাও । আমি তোমার সঙ্গে থাকৃলে এখনি ধরা পড়বে। তুমি J পাদুকা পরিত্যাগ ক’রে চলে যাও । সিরাজ । তোমায় পরিত্যাগ ক’রে যাবো । কলঙ্কের বোঝা মস্তকে ধারণ করে, রণস্থল ত্যাগ ক’রে এসেছি । ভীরুতায় সিংহাসন বর্জন করেছি, আর কলঙ্ক মস্তকে দিয়ে না। আর আমার জীবনে সাধ নাই। অদৃষ্ট্রে যা আছে হবে, আমার চিন্তা দূর হয়েছে।