পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিরাজদ্দৌলা שאר כי লুৎফ । কি হলো । (চীৎকার করিয়া কন্যাকে ক্রোড়ে লইয়া উপবেশন) সিরাজ। কেঁদো না—পবিত্র বালিকা অপবিত্র স্থান পরিত্যাগ করেছে। যদি কেউ মুসলমান থাকে, বালিকাকে কবর দিয়ে । আল্লার নাম নিয়ে প্রাণত্যাগ করেছে, নচেৎ আল্লার নিকট গুণাগারি হবে। মীরকাসিম, চলো । মীরকাসিম । ( দাউদের প্রতি ) তুমি বেগমকে হস্তীপৃষ্ঠে, যুবরাজ মীরণের নিকট নিয়ে যাও । আমি নবাবকে দরবারে নিয়ে যাচ্ছি। ( সিরাজের প্রতি ) জনাব, আসুন। সিরাজ । কি—কি ? এততেও তোমরা তৃপ্ত নও,—আমাদের একত্রে স্থান দিতেও সম্মত নও ? মীরদাউদ । সিংহ-সিংহিনী—এক পিঞ্জরে রাখতে ভয় হয়। সিরাজ । ( লুৎফউন্নিসার প্রতি ) প্রিয়ে, এই শেষ দেখা ! এর নরকের অনুচর। বালিকার মৃত্যু দেখেছি, তোমার মৃত্যু দেখলে শাস্তিলাভ করতেম । লুৎফ । ( সিরাজকে আলিঙ্গন করিয়া ) না—না—নবাবের চরণে আমায় স্থান দাও,—এ সময়ে আমাদের বিচ্ছেদ ক’রো না,—পতিপত্নী বিচ্ছেদ ক’রে না । ঈশ্বর সম্মুখে শপথ ক’রে, পরম্পর মিলিত হয়েছি, সে বন্ধন ছেদ ক’রো না । যদি না সম্মত হও, তোমাদের নিকট অস্ত্র আছে, আমায় বধ করে । মীরকাসিম । কেন—কেন—চিন্তা কি ? তোমায় বধ কল্পবো, এমনকি সাধ্য ! তোমার দুঃখের অবসান হয়েছে । লুৎফ। দয়া কর, কৃপা কর, ভিখারিণীকে ভিক্ষা দাও, নির্দয় হয়ে না। সিরাজ । প্রিয়ে, কথায় পাষাণ ত্রব হয় না। বাধা দিয়ে না,