পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় গর্ভাঙ্ক মুর্শিদাবাদ-কারাগার जिब्राछप्कोल। সিরাজ। এই জনশূন্য তমোময় ক্ষুদ্র গৃহ, কিন্তু যেন শত শত লোকে পরিপূর্ণ অনুমান হচ্ছে,--অনুতাপ-স্বজিত শত শত ব্যক্তি,-দরবারে এমন সমাগম হয় নাই। তখন যারা দণ্ডভয়ে কম্পিত হ’য়ে অবস্থান করেছে, তারাই এখন—শত জিহবায় আমার দণ্ডবিধান করছে। অন্ধকার-নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তি, একে একে অন্ধকারে মিশছে। কি বিভীষিকা । কই, লুৎফউন্নিসার মূৰ্ত্তি ত একবার দেখি নাই,—কই, মীরমদন ত একবার আসে না,—কই, সে বালিকা ত একবার জনাব’ ব’লে চুম্বন-আশায় উপস্থিত হয় না । নীরবে ঘোরতর কলরব । নেপথ্যে কারারক্ষক । যুবরাজের নিষেধ, আমরা আপনাকে যেতে দেব না । সিরাজ। যুবরাজ ! ফৈজি কি আমাকে ডাকৃছে ? ফৈজি কি প্রাণ ভিক্ষ চাচ্ছে ? ফৈজি কি পরপুরুষ সঙ্গে ক’রে আমাকে ব্যঙ্গ ক’য়ছে ? উঃ শ্বাস রুদ্ধ হয় ! নেপথ্যে মহম্মদী বেগ। কার আজ্ঞায় এসেছি বুঝেছ ? সিরাজ। একদিন আজ্ঞা দিয়েছি, আজ আজ্ঞা-প্রতীক্ষণয় কারাগারে আবদ্ধ ! এ স্থানে বায়ু-সঞ্চালনের পথ আছে, তথাপি কি দারুণ যন্ত্রণা! যখন বায়ুপথ রুদ্ধ করে, দিল্লীর বারবিলাসিনী ফৈজির প্রাণ বিনাশ করেছিলেম, না জানি সে, কত যন্ত্রণাই সহ করেছে, —এখন মনে হ’চ্ছে ! এখন মনে হ’চ্ছে, বিনা দোষে তার প্রাণবধ