পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रृंथंअभ पञश्क יר שצ আমি তোমার চক্ষের জল মুছাইব ; আমি তোমার সহিত যাইয়া, তোমার স্বামীর কবরে আলো দিব,—দুইজনে জামু পাতিয়া বসিয়া, ঈশ্বরের নিকট তোমার স্বামীর পরকালের শাস্তির কামনা করিব ! এ সমস্ত দুশমন। দুশ মনের নিকট কাতর হইবেন না, উহাদের আনন্দ বৃদ্ধি করিবেন না ;–এ ভীষণ দৃশ্য অকারণ দেখিবেন না ! লুৎফ। বিবি—বিবি, আমার ন্যায় হতভাগিনী কি পৃথিবীতে আছে ? ওয়াটস-পত্নী । তুমি সতী, স্বামী-সোহাগিনী । পরীক্ষা স্থানে দুঃপ পাইলে,—ঈশ্বরের স্থানে স্বামীর সঙ্গে একত্রে থাকিবে, একত্রে ঈশ্বর পূজা করিবে,—আর বিচ্ছেদ হইবে না। ( সৈন্তদ্বয়ের প্রতি ) Come boys, release the brute. সৈনিকদ্বয়ের মহম্মদীবেগকে পরিত্যাগ করিয়া ওয়াটস-পত্নী ও লুৎফউন্নিসার অনুগমন জহর । এই যে—এখনো শোণিত উষ্ণ আছে ! হোসেনের কবরে দেবে—হোসেলের কবরে দেবে! এখনো বিরাম নাই। হস্তীপৃষ্ঠে মৃতদেহ নগর ভ্রমণ করবে, আমি সঙ্গে সঙ্গে যাবে, তবে কবর-শায়িনী হবো । জহরার প্রস্থান ১ম দূত। নাও তোলো—হস্তীপৃষ্ঠে নিয়ে চলো । কোন মাহুত সন্মত হচ্ছে না, যুবরাজের কড়া হুকুম, আমাকেই হস্তী চালাতে হবে । মহম্মদী। আমি হাতী চালাতে পারি–আমি হাতী চালাতে পারি। ১ম দূত। বটে ! তবে এক কাজ তো এই করেছে, এ কাজও তুমি করে, তোমারই বাহাদুরী হোক। ট্যাট রাট পিটতে পারবে না ! আহ –তুমি এক হ’য়েই প্যাচ পড়েছে ! মহম্মদী। নাও ধরে । * সকলের সিরাজদ্দৌলার মৃতদেহ উত্তোলন