পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

心为● সিরাজদ্দৌলা করিম । চাচা, তোমার মুন খেয়েছি, এগিয়ে না, একটু পেছিয়ে পড়ে, মুহুনে বেটা বড় গোয়ার। রায় দু: ধরো, নইলে প্রাণবধ হবে । মোহন । তবে তোমারই প্রাণবধ অগ্ৰে হোক । ( অসি অৰ্দ্ধ নিষ্কাসন ) সুসজ্জিত জহরার বেগে প্রবেশ জহুরা। মোহনলাল—মোহনলাল—আর কেন অস্ত্র ধর্ছো ? কার জন্য অস্ত্র ধরছে ? নবাবের খণ্ড খণ্ড দেহ, হস্তীপৃষ্ঠে নগর ভ্রমণ করেছে। আমিনা বেগম রাস্তায় এসে বুক চাপ ড়ে কেঁদেছে, বৃদ্ধ নবাব-মহিষী রাস্তায় লুটোপুটি খেয়েছে, আমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়েছে ! এই দেখো ধূলিমিশ্রিত রক্ত দেখো, হোসেনকুলির কবরে দেবো । দেখছে না—ফুল দিয়ে কবর সাজিয়েছি, —এই দেখ, আমিও সুসজ্জিত হ’য়ে এসেছি। আজ হোসেনকুলির প্রেতাত্মা তৃপ্ত হ’য়ে, কবরে নিদ্রা যাবে, আমিও তার পাশে শোবো । করিম, করিম, আর আমি জহুরা নহ—প্রতিপ্রাণ রমণী —পতির অতুগামিনী হবো । মোহন । কি, কি—নবাব নাই ? রায়দুর্লভ ধরে—এই অস্ত্র ত্যাগ কচ্ছি। এই তরবারা, নবাব আমায় আদর ক’রে দিয়েছিলেন, সে অস্ত্র তোমার রক্তে কলুষিত কল্পবো না ! ( অস্ত্রত্যাগ ) রায় দুর্লভ, মৃত্যু—মুখ, সে মুখের অধিকারী তোমায় করবে না। মহারাজ ছিলে, এখন ইংরাজের দাস হ’য়ে ঘৃণিত জীবন অতিবাহিত করে । দরিদ্র বণিকের উপাসনা করে, অধীনতাশ্বস্থল গলায় বেঁধে, ক্লাইবের পশ্চাৎ কুক্করের স্তায় ভ্রমণ করে । যতদিন মন্থয্যের স্মৃতি থাকবে, আবাল-বৃদ্ধ-বনিত তোমার নামে কর্ণে অঙ্গুলী প্রদান কয়ূবে, তোমার বংশধরেরা, তোমার বংশে উদ্ভব বলে আপনাকে