পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৬
সিরাজদ্দৌলা
মীর জাঃ। ঐ আস্‌ছে।

ক্লাইব, ওয়াল্‌স ও উমিচাঁদের প্রবেশ

ক্লাইব। নবাব বাহাদুর, সেলাম।
মীর জাঃ। (সিংহাসন হইতে উঠিবার উপক্রম করিয়া) আস্‌তে আজ্ঞা হয়—আসুন—আসুন।
ক্লাইব। নবাব বাহাদুর গদী হইতে উঠিবেন না। আমাদের তরফ হইতে সমস্ত কার্য্য হইয়াছে, জনাব গদী পাইয়াছেন, আপনার তরফে যাহা কর্ত্তব্য, তাহা করুন,—আমাদের টাকা চুকাইয়া দিন। Mr. Wolls, read the treaty.
(ওয়াল্‌সের আসল সন্ধিপত্র বাহির করণ)
উমি। ও তো সন্ধিপত্র নয়, ও তো সন্ধিপত্র নয়,—সে যে লাল কাগজ। আমার নিকট তার নকল আছে, এই দেখুন।
ক্লাইব। এ কি জাল কাগজ আনিয়াছেন? আপনি অতি ধূর্ত্ত!
উমি। অ্যাঁ—অ্যাঁ, ওয়াটস সাহেব ত্রিশলক্ষ টাকা লিখে দিয়েছেন, আপনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন।
ক্লাইব। ওয়াট্‌স সাহেব কি করিয়াছে, হামি জানি না। উমিচাঁদ বাবু, হামাদিগকে অল্পই বুঝিয়াছেন। তোমার মত লোক যদি হামাদিগকে ভুলাইতে পারিত, তাহা হইলে জাহাজ ভাসাইয়া এতদূর আসিতাম না। তুমি হামাদের ভয় দেখাইয়া, টাকা আদায় করিবে ভাবিয়াছিলে। হামরা ভয় পাই না! তুমি জাল সন্ধিপত্র ধুইয়া খাও। তুমি জালিয়াৎ, জাল করিয়াছ, যাও—নচেৎ তোমার দণ্ড হইবে। কলিকাতায় হামাদের আইন চলে। সেখানে এই জাল কাগজ দাখিল করিলে, তোমার ফাঁসী হইত;— হামাদের আইনে জালের দণ্ড ফাসী। তুমি জালিয়াৎ, দরবার ছাড়িয়া চলিয়া যাও।