পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম অঙ্ক
১৯৭
উমি। অ্যাঁ, অ্যাঁ—ওরে বাপ্‌রে—কি জালিয়াৎ রে!—ওরে বাপরে কি হলো!—মাগ-ছেলে মরেছিলো, সব সয়েছিলো। ওরে বুক ফেটে গেল—বুক ফেটে গেল! ত্রিশ লক্ষ টাকা—ত্রিশলক্ষ টাকা—তার উপর জহরতের সিকি!—কি হলো রে—কি হ’লো!—
ক্লাইব। Hold your tongue, you forgerer. তোমায় কলিকাতায় লইয়া গিয়া ফাঁসী দিব।
উমি। দাও, দাও,—এখনি ফাঁসী দাও!—ত্রিশ লক্ষ টাকা—ত্রিশ লক্ষ টাকা!—হা টাকা—হা টাকা! টাকা—টাকা—
(মূর্চ্ছা) 
ক্লাইব। নবাব বাহাদুর, একে পাগ্‌লা গারদে পাঠান।
মীর জাঃ। কে আছ, একে নিয়ে যাও। শিবিকাবাহনে এঁরে আবাসে রেখে এসো।

উমিচাঁদকে লইয়া দুইজন প্রহরীর প্রস্থান {{hi|নেপথ্যে উমি। টাকা—টাকা—হা টাকা—হা টাকা! মোহনলাল ও করিমকে বন্দী করিয়া রায়দুর্লভ ও প্রহরীগণের প্রবেশ

রায়দুঃ। জনাব, এই মোহনলাল;—আর এই করিমচাচা, নবাবের বেশে আমাদের দূতকে প্রতারিত ক’রেছিল।
মীর জাঃ। করিমচাচা, তুমি এরূপ প্রতারক, আমার ধারণা ছিল না। তোমার প্রাণদণ্ড হবে।
করিম। মেরে তো ফেল্‌বে, দেহটা একবার হাতীর পিঠে ঘোরাবে না? শেষাশেষি পুরো নবাবীটে ক’র্‌তে দাও।
মীর জাঃ। বেইমান, তোমার এখনো ব্যঙ্গ?
করিম। বেইমানি তো আমার একচেটে নয়, আমি তো হেথায় হংস