পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
সিরাজদ্দৌলা
সকত। কি থাক্‌বে না, তার বাপকে থাক্‌তে হবে। মীরণ চাচা, নবাব তো আমি—কি বলো?
মীরণ। হুজুরই তো নবাব। তাই পিতা পাঠিয়ে দিলেন, সিরাজ সজ্জিত হ’য়ে আস্‌ছে, আপনি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হোন।
সকত। আশুক, এক ফুঁয়ে ওড়াবো—বুঝেছ—বুঝেছ? কাল কি পরশু গিয়ে মুর্শিদাবাদের গদীতে বস্‌ছি। তোমার বাবাকে ব’লো, ভাল ভাল মেয়ে মানুষ আমার শ’খানিক চাই, আমি গুণে নেব, একটা কম হ’লে চল্‌বে না। আমি উজিরি তাকে দিলুম, বুঝেছ? হুঁসিয়ার হয়ে কাজ করতে ব’লো। আর সিরাজের সেই গঙ্গায় বেড়াবার নৌকাখানা আছে তো? সেখানা যেন ঠিক সাজানগোজান থাকে। সিরাজ খুব ঝানু আছে। নৌকোয় বেড়িয়ে দু’ধারই ভাল ভাল মেয়ে মানুষ দেখেছে—আর বেগম করেছে। কেমন না—খবর রাখি কি না বলো? আচ্ছা আমিও দেখ্‌বো, আগে মুর্শিদাবাদে পৌঁছুই।
মীরণ। হুজুর, সিরাজ অনেক সৈন্য নিয়ে আস্‌ছে। পিতা বিশেষ ক’রে বল্লেন, আপনি সত্বর যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হোন। বোধ হয় সিরাজ এতক্ষণ রাজমহলে এসে পড়্‌লো।
সকত। অ্যাঁ—সত্যি নাকি?
উজির। হ্যাঁ জনাব, দূত এসে সংবাদ দিয়েছে। হুজুর, সত্বর সেনানায়কদের প্রস্তুত হ’তে আজ্ঞা দেন।
সকত। হ্যাঁ ডাকো—ডাকো—ফকির দানসাকে ডাকো। সে যে বল্লে—“ফুঁয়ে উড়িয়ে দেবো।” কি হ’লো—তবে কি হলো! অ্যাঁ আমি এখন লড়াইয়ে যাই কি ক’রে বল!