পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
১৯
লুৎফ। ওঠো মেম সাহেব, কেঁদো না কেঁদো না, কেন জানু পেতে জোড় হাত কচ্ছ? আমি নবাবকে বল্‌বার অবকাশ পাইনি, নবাব বড়ই রাজকার্য্যে ব্যস্ত। আমি পরিচারিকাকে পাঠিয়েছিলেম। নবাব বলেছেন, তিনি এখনি অন্তঃপুরে আস্‌বেন। আজ নিশ্চয় তোমার স্বামীকে আমি মুক্ত কর্‌বো। তুমি সতী, সতীর মর্য্যাদা অবশ্যই রাখ্‌বো।
ওয়াটস্-পত্নী। সব হাল আপনি শোনেন।
লুৎফ। মেমসাহেব, তুমি সকলই তো বলেছ।
ওয়াটস্-পত্নী। ভাল করিয়া ওয়াকিভহাল হোন, নবাব ওজর করিলে উত্তর করিতে পারিবেন। আমার স্বামীর কোন দোষ নাই। হাল এই, নবাব কলিকাতার গভর্ণর ড্রেক সাহেবকে আজ্ঞা দেন যে, তিনি পেরিং পয়েণ্ট যাহা নির্ম্মাণ করিয়াছেন, তাহা ভাঙ্গিয়া ফেলিবেন, আর রাজবল্লভের পুত্র কৃষ্ণদাসকে মুর্শিদাবাদ নবাবদরবারে পাঠাইবেন। গভর্ণর ড্রেক সাহেব নবাবী আজ্ঞা নিল না। নবাব সেই রাগ করিয়া আমার স্বামী ও চেম্বার্স সাহেবকে কয়েদ দিয়েছেন। বেগমসাব, নবাবকে বুঝাইবেন যে, আমার স্বামী ও চেম্বার্স সাহেব কাশিমবাজারের কুঠির কাজে নিযুক্ত। নবাবী-আজ্ঞা ড্রেক সাহেব মানিলো না, তাহাতে আমার স্বামী কি করিতে পারেন। আমার স্বামী নবাবের অবাধ্য নন, নবাব যাহা বলিয়াছেন, তাহা করিয়াছেন। ড্রেক সাহেব কথা শুনে না, তিনি কি করিবেন।
লুৎফ। তুমি স্থির হও, তোমার স্বামী মুক্তি পাবেন। ঐ নবাব আস্‌ছেন, তুমি মাতামহীর নিকট যাও।
ওয়াটস্-পত্নীর প্রস্থান