পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৷৹

হওয়া উচিত। কিন্তু ইতিহাস—ইতিহাস, ইতিহাসবেত্তা ব্যতীত তাহার প্রকৃত রসাস্বাদ সাধারণ ব্যক্তি দ্বারা হয় না। আমার ‘সিরাজদ্দৌলা’ যে জনপ্রিয় হইয়াছে শুনিতে পাই, তাহা আমার সৌভাগ্য।

 বিদেশী ইতিহাসে সিরাজ চরিত্র বিকৃত বর্ণে চিত্রিত হইয়াছে। সুপ্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক শ্রীযুক্ত বিহারীলাল সরকার,[১] শ্রীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, শ্রীযুক্ত নিখিলনাথ রায়, শ্রীযুক্ত কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি শিক্ষিত সুধিগণ অসাধারণ অধ্যবসায় সহকারে বিদেশী ইতিহাস খণ্ডন করিয়া রাজনৈতিক ও প্রজাবৎসল সিরাজের স্বরূপ চিত্র প্রদর্শনে যত্নশীল হন। আমি ঐ সমস্ত লেখকগণের নিকট ঋণী। এস্থলে এসিয়াটিক সোসাইটীর সহকারী লাইব্রেরিয়ান শ্রীযুক্ত যোগেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের নামোল্লেখ না করিলে আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সম্পূর্ণ হয় না। তিনি এসিয়াটিক সোসাইটিতে সিরাজদ্দৌলা সংক্রান্ত যত প্রকার ইংরাজী পুস্তক আছে, বিশেষ অনুসন্ধানে, আমার সাহায্যার্থে প্রেরণ করেন।

 নাটক সমাপ্ত হইলে, আমার উৎসাহদাতা সহৃদয় সমাজপতি এবং “মুর্শিদাবাদ কাহিনী” প্রণেতা পূর্ব্বোল্লিখিত উদারচেতা শ্রীযুক্ত নিখিলনাথ রায় মহাশয়দ্বয়, নাটকখানি আদ্যোপান্ত শ্রবণে পরম প্রীতি প্রকাশ করেন; ইহা আমার সামান্য পুরস্কার নহে। “বসুমতী” সম্পাদক শ্রীযুক্ত জলধর সেন মহাশয়ের নিকটও আমি কৃতজ্ঞ।

 এক্ষণে নাটকখানি, যদি পাঠকের প্রীতিকর হয়, শ্রম সফল জ্ঞান করিব।

শ্রীগিরিশচন্দ্র ঘোষ
  1. ১২৯৯ সালের “জন্মভূমিতে” প্রকাশিত “পলাশী” প্রবন্ধে বিহারী বাবু অন্ধকূপের ভিত্তিহীনতা স্থাপনে প্রথম প্রয়াস পান।