পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
৩৩
সাহেবকে লিখিয়াছিল কি না, যে সিরাজ নবাব হইল তো কি হইল? নবাবের বড় মাউসি ঘেসেটীবেগমের পুষ্যি ছানা সিরাজের ভাই এক্রামদ্দৌলার নাবালক লেড়্‌কাটাকে হামি নবাব কর্‌বে। নবাবের চাচী ঘেসেটীবেগমের টাকা আর তোমার বাবার চালাকি এই দুই একত্রিত করিয়া, সিরাজকে গদি হইতে নামাইবে। এখন কি হইল
কৃষ্ণ। সাহেব, আমার পিতা প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন।
ড্রেক। Fool, প্রাণপণ কাকে বলো! যেখন নবাবী ফৌজ ঘেসেটীবেগমের লালকুঠিতে আসিল, একঠো গুলি ছাড়িয়াছিলো? একঠো তলোয়ার খাপ হইতে বাহির হইয়াছিল? তোমার বাবা কুত্তাকা মাফিক ভাগ্‌লে; যে ঘেসেটীবেগমের সাথ দোস্তি করিয়াছিলো, সে ঘেসেটীবেগমের হাল কি হইবে তাহাও ভাবিলো না। এস্‌কা নাম বেইমানি
কৃষ্ণ। সাহেব, আমার পিতা কি জানেন যে, তাঁরা প্রস্তুত হ’তে না হ’তে সিরাজ আক্রমণ কর্‌বে।
হল। এ কথা কি তোমার বাবা বলিয়াছিলো যে তিনি না প্রস্তুত আছে? প্রস্তুত না আছে জানিলে কি গভর্ণর ড্রেক সাহেব নবাবে দূতের অপমান করিত, না প্রথম যখন দূত গিয়াছিল ঐ ওক্‌তে পেরিং পয়েণ্ট ভাঙ্গিয়া দিত; কেল্লা মেরামতি করিত না, নবাব যেমন যেমন বলিয়াছিল, সব কাম তেমন তেমন করিত।
কৃষ্ণ। বাবার ত্রুটি হ’য়েছে, বাবার ত্রুটি হ’য়েছে আমি স্বীকার পাচ্ছি।
ড্রেক। তুমি স্বীকার পাইতেছ তো হামি খোস হইয়া গেল। দেখো, ফের্‌বি যখন নবাব দূত পাঠাইল, তখন বি তোমার বাপ কিছু বলে না।—ফের ড্রেক সাব, নবাবকা অপমান করিল।