পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
সিরাজদ্দৌলা
কৃষ্ণ। হ্যাঁ—শেষে রামরাম সিংহের ভাই রাজারাম সিংহ এসেছিল বটে, কিন্তু সে ফিরিওয়ালার বেশে এসেছিল, একথা লিখেতো নবাবের নিকট কৈফিয়ত দিয়েছেন।
ড্রেক। হাঁ, আামরা লিখেছি; সে তোমার বাপের সলা না, হাম্‌রা লিখা জানে। লেকেন তোম বাপ-বেটা দুশ্‌মন আছে, এ ইংরাজ লোক ভুলিবে না।
কৃষ্ণ। আমরা চিরদিনই আপনাদের আশ্রিত, আমরা চিরদিনই আপনাদের বন্ধু।
হল। হাঁ, বুড়া নবাব আলিবর্দ্দীর আমলে যখন তোমার বাবা ঢাকার নোয়াজেসের দাওয়ান ছিলো (ও উল্লুক নামে ঢাকার সর্দ্দার ছিল, কিছু দেখিত না, মুর্শিদাবাদে মতিঝিলে রেণ্ডি নিয়ে আস্‌নাই করিত) তেখন তোমার বাবা প্রজা লুটিয়া টাকা লইয়াছে আর আমাদের উপর কি জুলুম করিয়াছে, তাহা তোমার স্মরণ থাকিতে পারে। না স্মরণ থাকে, আমি তোমায় ইয়াদ করিয়া দিতেছি।
কৃষ্ণ। সাহেব—সাহেব—
ড্রেক। Silence! হামাদের মাল জাহাজ আটক করিল, এজেণ্টদিগকে কয়েদ করিল, ফের নবাব যখন মর্‌বে শুন্‌লে, তেখন কাশিমবাজারে ওয়াট্‌স্‌ সাহেবকা পাশ বলিল—‘সিরাজদ্দৌলা নবাব হইবে না, তোমার বাবা যাকে নবাব করিবে সেই নবাব হইবে।’ তুমি কলিকাতায় পলায়ন করিয়া আসিলে, ইংরাজ খোলা বাহুতে তোমাকে receive করিল, তোমার বাপের বেইমানি সব ভুলিয়া গেল।
কৃষ্ণ। হ্যাঁ—আপনাদের কাছে আমরা চিরকৃতজ্ঞ।