পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
৩৯

বোচ্‌কা-বুচ্‌কি বাঁধিয়া কতিপয় স্ত্রী-পুরুষের প্রবেশ

সকলে। ও বাপ্‌রে—কি হলোরে—কোথায় যাবো। ঐ নবাব এলো—পালা—পালা—
সকলের কলরব করিয়া বেগে প্রস্থান

অষ্টম গর্ভাঙ্ক[১]

কলিকাতা—ফোর্টউইলিয়মস্থ কারাগার

কৃষ্ণদাস ও উমিচাঁদ

কৃষ্ণ। ম’শায় আর চিঁড়েগুড় খেয়ে প্রাণ তো বাঁচে না, এ অন্ধকূপে আর কতদিন থাকবো? এইখানেই কি মৃত্যু হবে? আর তো কোন উপায় দেখিনে! পিতাকে পত্র লিখেছি, সে পত্র পাঠিয়েছে কিনা জানি নে। আজও তো আমার মুক্তির উপায় কিছু কর্‌লেন না।
উমি। বাবা আমি ধনে-প্রাণে গেলেম, ধনে-প্রাণে গেলেম! বাড়ী লুট ক’রে যে যা পেয়েছে হাতিয়েছে!
কৃষ্ণ। আহা আপনার পরিবারবর্গের কিছু সংবাদ পান নি?
উমি। তারা কোন রকমে পালাবে, তারা তো টাকার মত অচল নয়। সম্বৎসরের আয় নবাবের এলাকা ছাড়িয়ে, কোল্‌কাতায় এনে রেখেছিলুম। ওঃ পথে বসালে!
কৃষ্ণ। ম’শায়, বিজাতী ফিরিঙ্গিকে বিশ্বাস ক’রে অতি অন্যায় করেছি। যদি দিল্লীতে যেতেম কি পূর্ণিয়ায় সকতজঙ্গের আশ্রয়
  1. ২৫ পৃষ্ঠার টীকা দেখুন।