পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
সিরাজদ্দৌলা

হল্‌ওয়েলের প্রবেশ

হল। উমিচাঁদ বাবু, তুমি রাখ্‌বে তো বাঁচ্‌বে নয়তো সব মারা যাবে! বাবা, কসুর হইয়াছে, ঐ কালা আদ্‌মিটা আপনার চুক্‌লি কর্‌লো, ড্রেক সাব সমুজতে পার্‌লে না, আপনাকে বহুত দুখ্ দিলো; বাবু forgive and forget! আমরা ব্যবসা করিতেছি by your help—forgive and forget—নবাব হইতে হাম্‌লোককো জান বাঁচাও।
উমি। সাহেব, আমি কি কর্‌বো? আমায় রাস্তার ভিখারী করেছো তোমার গোরায় আমার বাড়ী লুটে নিলে; আমি এই কয়েদখানায় চিঁড়ে-গুড় খাচ্ছি।
হল। আপনার যাহা গিয়াছে, East India Company তাহার double দিবে, টাকার নিমিত্ত কিছুই পরোয়া করিবেন না, হামাদের জান বাঁচান। কৃষ্ণদাস বাবু, হামাদের কসুর হইয়াছে, উমিচাদ বাবুকে বুঝাইয়া বলেন, হামাদের জান বাঁচান।
উমি। সাহেব, কি করতে হবে—বলুন।
হল। আপনার দোস্ত General মাণিকচাঁদ rampart attack করিয়াছে। তাঁহাকে একখানা পত্র লিখিয়া দেন, নবাব হামাদের সহিত peace করে। নবাব যেমন যেমন বলে, হামি লোক তেমন তেমন কর্‌বে।
কৃষ্ণ। যে দিকে হোক আমার প্রাণ যাবে।
হল! কৃষ্ণদাস বাবু, আপনার বাবা আপনাকে রক্ষা করিবেন। উমিচাঁদ বাবু, এই মুন্‌সির নিকট পত্র লিখিয়া আনিয়াছি, একঠো সই করিয়া দেন। হামি rampart হইতে পত্রটা ফিঁকে দিবে।