পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
৪৭
মীরণ। (দূতের প্রতি) আমার সঙ্গে সাহেবকে নিয়ে এসো। (স্বগত) মেম বেটীদের কোথায় ধরে রেখেছ!
মীরণ, হলওয়েল ও দূতের প্রস্থান
রাজবঃ। (জনান্তিকে রায় দুর্লভের প্রতি) ঐ কৃষ্ণদাসকে নিয়ে আস্‌ছে, আজ আমি পুত্রহীন হ’লেম।
রায়দুঃ। জনান্তিকে) ভগবান্‌কে ডাকুন, নবাবকে কোনরূপ অনুরোধ ক’রুতে তো আমার সাহস হচ্ছে না।
সিরাজ। রাজা রাজবল্লভ, চিন্তা দূর করুণ। নবাবের মার্জ্জনা আছে, তা কি আজও আপনাদের অনুমিত হয় নাই। রাজা রাজবল্লভ আপনাকে জিজ্ঞাসা কচ্ছি।
রাজবল্লভের সেলামকরণ

উমিচাঁদ ও কৃষ্ণদাসকে লইয়া দোস্ত মহম্মদের প্রবেশ ও
উভয়ে দবাবের সম্মুখে জানু পাতিয়া অভিবাদন

কৃষ্ণদাস, উমিচাঁদ, আসন গ্রহণ করো। এঁদের কোথায় দেখা পেলেন?
দোস্ত। জনাব, অন্ধকূপের ন্যায় একটা গৃহে এঁরা বন্দী ছিলেন।
সিরাজ। উমিচাঁদ, নবাবী অধিকার অপেক্ষা কলিকাতা নিতান্ত নিরাপদ স্থান নয়, এতদিনে ধারণা হ’য়ে থাক্‌বে।
উমি। জনাব, জনাব—কারবারের সুবিধার নিমিত্ত কলিকাতায় ছিলেম; সমুচিত দণ্ড হয়েছে, আমার সর্ব্বস্ব গিয়েছে।
সিরাজ। কৃষ্ণদাস, নবাব-চরিত্র তুমি অবগত ছিলে না, সেই নিমিত্ত কলিকাতায় এসে ইংরাজের শরণ নিয়েছিলে। আমরা যৌবনসুলভ অনেক দোষে দোষী স্বীকার করি, কিন্তু কেউ শরণাগত হ’য়ে আশ্রয় পায়নি, বা গুরুতর অপরাধ ক’রে মার্জ্জনা প্রার্থনায়