পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
৫৭
মহোৎসব হয়, প্রজাবর্গ পরমানন্দে মত্ত থাকে। সেই সময় দানসা নামে একজন ফকির, জনাবের নামে কলঙ্ক রটনা এবং পূর্ণিয়ার সকতজঙ্গ বাহাদুরের প্রশংসা ক’রে, প্রজাবর্গকে বিদ্রোহী হ’তে উৎসাহিত করেছিলো। বান্দা তারে কারারুদ্ধ করেছে, আজ্ঞা হ’লে দরবারে উপস্থিত করি।
সিরাজ। উপস্থিত করা হোক।
মোহন। (দানসাকে আনিবার জন্য দূতকে ইঙ্গিতকরণ ও দূতের প্রস্থান) আরও জনাবের জমাদার লছমনসিংহের মুখে সংবাদ পেলেম, যে এক ফকিরবেশিনী স্ত্রীলোক ঐরূপ কুৎসা ক’রে, অট্টালিকা হ’তে কুটীর পর্য্যন্ত গমনাগমন করে;—নবাব-অন্দরেও কখনো কখনো প্রবেশ করে, অবগত হ’লেম। সে স্ত্রীলোক বহুরূপধারিণী, বহু অনুসন্ধানে নগর-রক্ষক এ পর্য্যন্ত তারে ধৃত করতে পারে নাই। সে রমণী নবাবের অন্দরে প্রবেশ করে, যদি সত্য হয়, কিঞ্চিৎ বিস্ময়ের বিষয়! সে দুশ্চরিত্রা ঘরে ধরে রটনা করেছে, যে নবাব রণজয় ক’রে মুর্শিদাবাদে উপস্থিত হ’য়েই অতি হীন আজ্ঞা প্রচার ক’র্‌বেন; এবং রাণী ভবানীর কন্যা তারাবাইকে বলপূর্ব্বক আনয়ন করা হবে। সেই তারাবাইয়ের প্রতিমূর্ত্তি নবাবের শয়নগৃহে আদরে স্থাপিত হয়েছে।
সিরাজ। (স্বগত) ও বুঝ্‌লেম, সেই তসবিরবাহিকা। (প্রকাশ্যে) সে স্ত্রীলোককে বন্দী কর্‌বার জন্য বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করা হোক।

দানসাকে লইয়া প্রহরীর প্রবেশ

দানসা। দই জনাব—দই জনাব—মোর কসুর নাই—মোর কসুর নাই। একটা মন্দিরির পাশ দিয়ে আস্‌তিছিলাম, একটা হদুর