পাতা:সিরাজদ্দৌলা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮২
সিরাজদ্দৌলা
শাখা ছেদন করেছি;—দেখুন, বিনয়ীর ন্যায় তারা অবস্থান ক’র্‌ছে। বোধ হয়, আমার রাজ-অতিথি আগত। বঙ্গ-বিহার-উড়িষ্যার অধিপতি! আমার হৃদয়-আসনের আদর্শ স্বরূপ এই পুষ্পিত আসন গ্রহণ করুন, বাঁদীকে পদসেবার অধিকার দেন।
এ কি খোজা! নবাব কোথায়?

খোজার প্রবেশ

খোজা। বেগম সাহেব নবাববাহাদুর এই পত্র প্রেরণ করেছেন
লুৎফ
(পত্র পাঠ)
“প্রিয়ে,

ভেবেছিলাম তোমার সঙ্গে আলাপের অবসর হবে। বিধাতা বিমুখ, তোমার বিমল প্রেমাম্বাদ আমার অদৃষ্টে নাই। আমি কলিকাতায় ইংরাজ-বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করিলাম। শঠ আমাত্যগণ ষড়যন্ত্র ক’রে ইংরাজ-সৈন্য বাঙ্গ্‌লায় উপস্থিত করেছে, তাদের দমন নিতান্ত প্রয়োজন। যেরূপ বিপদতরঙ্গ উত্থিত, যেরূপ সংহার-মেঘ উদয়, যেরূপ বিপ্লব-পবনের আড়ম্বর,—ভগবানের বিশেষ অনুগ্রহ ব্যতীত নিস্তার লাভ করা অসম্ভব। যদি ঈশ্বরকৃপায় বিপদমুক্ত হ’তে পারি দেখা হবে, নচেৎ পত্রে বিদায় গ্রহণ করিলাম।

তোমার চিরানুরাগী সিরাজ”।

(খোজার প্রতি) তুমি যাও; তুমি চিরদিন নবাবের অগ্রগামী, হায়! আজ এই কুসংবাদ কেন নিয়ে এলে?

খোজার অভিবাদন পূর্ব্বক প্রস্থান
জগদীশ্বর! ভেবেছিলেম, আমার এই উপবন, সুন্দর নবাবরাজ্যের